ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

ঝলক

কেক বটে! চেষ্টায় সব হয়। ফের এ কথার যথার্থতা প্রমাণ করলেন চীনের জু ই। ছোটবেলায় শখের বশে কেক বানাতেন তিনি। এর পর বিষয়টি তার নেশায় পরিণত হয়। নানা প্রাণী ও জীবজন্তুর আদলে কেক তৈরি করতে থাকেন জু ই। এ কারণে চীনের সুগার কিংয়ের মর্যাদায় ভূষিত হন তিনি। এই নামে তাকে সবাই চেনে। এরপর আরও উদ্যম নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। কেকের মধ্যে পুতুল ও মানুষের আদল এমনভাবে ফুটিয়ে তোলেন যা জীবন্ত মনে হয়। প্রথম দেখায় অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না যে, এগুলো মানুষ নয় ¯্রফে খাবার। এরপর আন্তর্জাতিক পরিম-লে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক কেক তৈরির প্রতিযোগিতায় তিনটি স্বর্ণ ও তিনটি ব্রোঞ্জপদক পান। এর পর বিশ্বের সেরা কেক প্রস্তুতকারীর খেতাব অর্জন করেন। জু ই কেকের মাধ্যমে বিশেষ করে চীনা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার চিত্র তুলে ধরেন। এগুলো দেখতে যেমন অনন্যসাধারণ আবার খেতেও সুস্বাদু। তার তৈরি কেকের মধ্যে চীনের একমাত্র নারী সম্রাজ্ঞী উ জিতানের আদলে তৈরি কেকটি অন্যতম। কেকটি দেখলে কারো বুঝে ওঠার জো নেই যে, তিনি সম্রাজ্ঞী উ জিতান নন। এক সাক্ষাতকারে জু ই বলেন, এসব তৈরি করা মোটেও কঠিন নয়। তবে কোন শিল্পকলা তৈরিতে গভীর মনোযোগ দেয়া দরকার বলে মত দেন তিনি। জু ই বলেন, আমি কেকের কোন অংশ একাধিকবার তৈরি করি। সঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। চীনের সাংহাইয়ে জু ইর একটি কেক তৈরির কারখানা রয়েছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তার কাছে কেক তৈরির ফরমায়েশ আসে।Ñচায়না ডেইলি অবলম্বনে সিনেমাকে হার মানায় – কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুই শিশুর জন্ম হয় এবং হাসপাতালে থাকতেই শিশু দুটো বদল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পরের ঘটনাটি সিনেমার কাহিনীর মতো। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অসমে। একেবারেই ভিন্ন রকমের দুটো পরিবারে তাদের জন্ম। একটি শিশু উপজাতি এক হিন্দু পরিবারে আর অন্যটি মুসলিম। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ সংগ্রামের পর তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে যে পরিবারে তাদের জন্ম তাদের শনাক্ত করা হয়। পরে ওই দুটো দম্পতি আদালতের শরণাপন্ন হন এবং নিশ্চিত করেন যে তারা একে অপরের সন্তান লালন-পালন করবেন। শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি তার স্ত্রী সালমা পারভীনকে মঙ্গলদাই হাসপাতালে নিয়ে যান ২০১৫ সালের ১১ মার্চ সকাল ৬টায় এবং তার এক ঘণ্টা পরেই তাদের একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। পরের দিনই তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয় হাসপাতাল থেকে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পর আমার স্ত্রী বলল, এই বাচ্চা আমাদের নয়। আমি বললাম, কি বলছ তুমি? একটি নিষ্পাপ শিশুর ব্যাপারে তোমার এভাবে কথা বলা ঠিক নয়। আমার স্ত্রী বলল, প্রসূতি কক্ষে নাকি আরও এক মহিলা ছিল এবং তার মনে হচ্ছে ওই মহিলার বাচ্চার সঙ্গে আমাদের বাচ্চা বদল হয়ে গেছে। আমি তার কথা বিশ্বাস করিনি। কিন্তু দিনের পর দিন সে এই কথাটা আমাকে বলতেই থাকল। শাহাবুদ্দিন তখন হাসপাতালে ছুটে যান এবং সেখানকার এক কর্মকর্তাকে তার স্ত্রীর সন্দেহের কথা জানান। তখন ওই কর্মকর্তা তাকে বলেন, তার স্ত্রী মানসিকভাবে সুস্থ নন। তিনি তখন তথ্য জানার অধিকার সংক্রান্ত একটি পিটিশন দায়ের করেন। সেদিন সকাল সাতটা থেকে যত শিশুর জন্ম হয় তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান তিনি। তার একমাস পর তিনি সাত নারীর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। কাগজপত্র দেখার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন একটি উপজাতি মহিলার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়ার। কারণ, ওই মহিলার সন্তান জন্মদানের সঙ্গে তাদের সন্তানের জন্ম হওয়ার সময় ও ঘটনার মধ্যে অনেক মিল দেখা যায়। এরপর ওই মহিলার খোঁজে তিনি দুবার তার গ্রামে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার বাড়িতে যাওয়ার সাহস পাননি। শাহাবুদ্দিন বলেন, তখন আমি তাদেরক একটি চিঠি লিখি। আমি বলি, আমার স্ত্রী সন্দেহ করছে তাদের বাচ্চার সঙ্গে আমাদের বাচ্চা বদল হয়ে গেছে এবং এ বিষয়ে তাদের কোন সন্দেহ আছে কিনা। চিঠির নিচে আমি আমার ফোন নম্বর দেই। আহমেদের চিঠি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ওই বোড়ো দম্পতির সন্দেহ হয়নি যে তাদের সন্তান অন্য কোন শিশুর সঙ্গে বদল হয়ে গেছে। পুরো ঘটনাটিই বদলে যায় যখন এই দুটো পরিবার একসঙ্গে মিলিত হয়। পরে ওই দুটো দম্পতি ও দুটো শিশুর রক্তের নমুনা নিয়ে কলকাতায় পরীক্ষা হয়। তবে ফর্মে কিছু সমস্যা থাকায় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি এই পরীক্ষা করাতে রাজি হয়নি। পরে ফের নমুনা সংগ্রহ করে গৌহাটিতে ফরেনসিক ল্যাবে টেস্ট করা হয়। ওই পরীক্ষায় প্রমাণ হয় যে, আসলেই বাচ্চা দুটো জন্মের সময় বদলাবদলি হয়ে যায়। তখন দুই পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দাবি করা হয় দুটো বাচ্চাকে আবার বদল করার জন্য। তখন সিদ্ধান্ত হয়, বাচ্চা দুটোকে যার যার আসল পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হবে। এখন কিন্তু বাদ সাধে দুটো শিশু। যে পরিবারে তারা বেড়ে উঠেছে সেই পরিবার তারা ছাড়তে চায়নি। -বিবিসি অবলম্বনে
×