বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের ওপর হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ছাত্রলীগসহ বিশ^বিদ্যালয়ের ২৯টি সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কার্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, যারা ঢাবির অভিভাবক উপাচার্যকে অপদস্থ করেছে, ভাংচুর করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে তাদের অচিরেই বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচীতে যাবেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানার নিয়ে ছাত্রদল-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে ভিসির ওপর হামলা করেছে, ছাত্রীদের নির্যাতন করেছে, সেই সব নিপীড়কদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক এ আন্দোলনে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নোমান সুমন বলেন, নিজেদের অভিভাবকে লাঞ্ছিত করে, ভাংচুর করে, ছাত্রী নির্যাতন করে এটা আবার কিসের আন্দোলন? এসব কুলাঙ্গারদের অচিরেই বহিষ্কার করতে হবে।
এ ছাড়াও মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে টিএসসিভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আইটি সোসাইটি, ব্যান্ড সোসাইটি, কালচারাল সোসাইটি, ফিল্ম সোসাইটি, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, স্লোগান ৭১সহ আরও কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবন্দ।
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন ॥ এ দিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়ন বিরোধী’ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে বিভাগের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক। তিনি বলেন, সত্যিকারের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধিভুক্ত কলেজ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছিল। তাদের ওপর ছাত্রলীগের প্রথম দফা হামলার পরে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। প্রগতিশীল ছাত্র প্রতিহত করতে হামলা করা হয়েছে। টার্গেট করে মারা হয়েছে। তারা কেউ সন্ত্রাসী না। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাদেরকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরে ভিসি কথা বলতে এলে তিনি লাঞ্ছনার শিকার হন। পরে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান ৪০-৫০ জন কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে অবরুদ্ধ ভিসিকে মুক্ত করেন।