স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্টের মধ্যে সরাসরি শিপিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য তিন বন্দরের সঙ্গে শীঘ্রই একই সমঝোতা স্মারক এমওইউ সই করা হবে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বিভিন্ন বন্দর পরিদর্শন শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান এই সমঝোতার আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরকে কারিগরি সহায়তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, মেরিন সার্ভিস, টাগ অপারেশন ও প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করবে বিদেশী বন্দরগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দরগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ হলে সময় এবং খরচ অনেক কমে যাবে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন রফতানিযোগ্য বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকায় গমনকারী তৈরি পোষাক শিল্পে নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। এতে যাতায়াত সময় এবং সার্বিক ব্যবসার খরচ অনেক কমে আসবে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হবে।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, বেগম মমতাজ বেগম এ্যাডভোকেট, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। শাজাহন খান জানান, ডারবান বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় সব সূচকেই এগিয়ে আছে। এটি একটি মাল্টিপারপাস বন্দর। ভবিষ্যতে ডারবান পোর্টের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সিস্টার পোর্ট রিলেশনশীপ করা যায় কি-না এ বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে বিশ্বের উন্নত বন্দরসমূহের সম্পর্ক স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।