ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাইক পেন্সের মধ্যপ্রাচ্য সফর, নিভিয়ে দিল শান্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

মাইক পেন্সের মধ্যপ্রাচ্য সফর, নিভিয়ে দিল শান্তির সম্ভাবনা

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরটি করার কথা ছিল গত বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে কিন্তু নানা কারণে তা বিলম্বিত হয়। পেন্সের মূল সফরসূচীর সময় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু পরে তিনি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। পেন্সের বদলে তিনি ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেন। পেন্স বাস্তবিক পক্ষে পশ্চিম তীর সফর বা কোন ফিলিস্তিনি নেতার সঙ্গে বৈঠকের আদৌও কোন উদ্যোগ নেননি। নেসেটে পেন্সের বক্তব্য দেয়ার পর আরব-ইসরাইলী সংসদ সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করলে সেখান থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়। পেন্স তার ভাষণের সময় কিছুটা সংবাদ তৈরি করেছেন এই ঘোষণা দিয়ে যে, তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে আনার কাজ সম্পন্ন হতে কয়েক বছর লাগবে বলা হলেও ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ তা সম্পন্ন হতে পারে। এটা তাৎপর্যপূর্ণ যে বর্তমানে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী মার্কিন স্বীকৃতি প্রতীকী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত কূটনৈতিক নীতিতে কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হলে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য জেরুজালেমের মর্যাদার বিষয়টি চালিয়ে নেয়া আরও একটু সহজ হবে। ইসরাইলে যাওয়ার আগে পেন্স যুক্তরাষ্ট্রের দুই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিসর ও জর্দান সফর করেন। দেশদুটির নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বেশ ভাব রয়েছে। তবে মিসরের প্রেসিডেন্ট ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের সময় পেন্সকে ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের বিষয়ে বার বার সচেতন করে দেয়া হয়। পেন্সের সঙ্গে বৈঠকের সময় জর্দানের বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণাকে অবিবেচনাপ্রসূত বলে আখ্যায়িত করেন । পেন্সের এ সফরের সময় তার স্ত্রীর সময় কেটেছে শপিং করে। তার এই সফর বরং মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ও অনান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘাত উস্কে দিয়েছে।-বিবিসি
×