চীনের সরকারী বার্তা সংস্থা রবিবারে প্রকাশিত তাদের মন্তব্য প্রতিবেদনে মার্কিন প্রশাসনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অচলাবস্থা (শাট ডাউন)কে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পদ্ধতির দীর্ঘদিনের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেছে। নিউজ উইক ও গার্ডিয়ান।
মার্কিন আইন প্রণেতারা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে তহবিল বরাদ্দ না করায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এই শাট ডাউন শুরু হয়। চীনের শিনহুয়া বার্তা সংস্থার লিও চ্যাং তার মন্তব্যে একথা বলেন যে, ভাগ্যের কী পরিহাস শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা লাভের প্রথম বর্ষপূর্তিতে এই শাট ডাউনের অর্থ হচ্ছে ওয়াশিংটন নেতৃত্বের মুখে এক চপেটাঘাত। এর মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও (দ্বিদলীয়) সরকারী ব্যবস্থায় অসহযোগিতার একটি জাজ্বল্যমান চিত্র ফুটে উঠেছে।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, উন্নত বিশ্বে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে প্রায় নিখুঁত বলে প্রশংসা করা হয়। এর মাধ্যমে উন্নততর গণতান্ত্রিক্র শক্তি ক্ষমতা লাভের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আজ কী ঘটতে চলেছে। সেখানের রাজনৈতিক পদ্ধতির বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আজ সারা বিশ্বের কাছে প্রতিফলিত হয়েছে। শিনহুয়াতে প্রকাশিত এই মন্তব্য কোন সরকারী বিবৃতি বা সূত্র থেকে আহরিত না হওয়ায় এটিকে সরকারী ভাষ্য বলা না গেলেওÑ তা বেইজিং প্রশাসনের চিন্তার প্রতিফলন হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। সমাজতান্ত্রিক ও কম্যুনিস্ট শাসিত দেশগুলোতে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বজায় থাকায় সেখানে কর্তৃত্ববাদী সরকার বিকশিত হয়। সেখানে মানবাধিকার, অবাধ মত প্রকাশের স্বাধীনতার আশা করা সুদূরপরাহত। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের শাট ডাউন নিয়ে উল্লসিত সংবাদ প্রতিবেদন সারা বিশ্বের মুক্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উপহাস করার শামিল। আর একটি কথা এ প্রসঙ্গে বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, এই শাট ডাউন ট্রাম্পের সময়ই প্রথম ঘটল তা নয়, এর আগে ওবামা সরকার এবং তার আগেরকার সরকারগুলোর সময় শাট ডাউনের সংখ্যা গণনা করলে তা বিশ (২০) এর কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।