ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক ব্রিটিশ কূটনৈতিক প্রধানের গোপন তথ্য ফাঁস

মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন বর্ণবাদী মানসিকতাদুষ্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন বর্ণবাদী মানসিকতাদুষ্ট

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার চাইতেন দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু শেতাঙ্গদের দেশ হবে। থ্যাচারের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে কূটনৈতিক বিভাগের প্রধান প্যাট্রিক রাইট এ তথ্য ফাঁস করেছেন। রবিবার ডেইলি মেইলে প্রকাশিত তার ডায়েরির নিবন্ধে এসব কথা জানা গেছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। প্যাট্রিক বলেন, থেচার জার্মানদের ঘৃণা করতেন। তিনি চাইতেন ভিয়েতনামী লোকদের বহনকারী নৌকাগুলো সাগরে ভাসিয়ে রাখতে। ১৯১০ সালের আগে থেচার দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে তার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ডায়েরিতে স্যার প্যাট্রিক থেচারের সঙ্গে আমন্ত্রিত হয়ে এক দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় তাদের আলোচনা তুলে ধরে লেখা শুরু করেন। প্যাট্রিক লেখেন, তিনি আমাদের সামনে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) প্রেসিডেন্ট অলিভার টম্বোর একটি লেখা আমাদের সামনে তুলে ধরে আলোচনা শুরু করেন। টম্বোর ওই লেখাটি এক পত্রিকায় ছাপানো হয়। সেই লেখার কাটিং নিয়ে আসেন থেচার। তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে যে আমাদের তার সঙ্গে কথা বলা উচিত নয়... থেচার দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯১০সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন। থেচার বলেন, সেখানে একটি ক্ষুদ্র শেতাঙ্গ রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। যা বিভাজিত কালোদের থেকে ভিন্ন হবে। যখন স্যার প্যাট্রিক থেচারের ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ও বলেন, এটি সেখানে বর্ণবাদের সম্প্রসারণ করবে। থেচার তখন চিৎকার করে উঠে বলেন, আমাদের কৌশলগত স্বার্থের জন্য আপনার কোন চিন্তা নেই। স্যার প্যাট্রিক আরও দাবি করেন, থেচার তার সময়ে সবচেয়ে খারাপ কাজ করেছেন ১৯৮৯সালে ভিয়েতনামীদের বহনকারী নৌকাগুলো নিয়ে সঙ্কট সৃষ্টি করে। সে সময় প্রায় ৭০হাজার ইন্দোচাইনিজ নৌকা ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর ভিয়েতনামীদের নিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ান দেশগুলোতে ও হংকংয়ে পৌঁছায়। থেচার তখন ভিয়েতনামী লোকদের বহনকারী নৌকাগুলো সাগরে ভাসিয়ে রাখে ও তাদেরকে ওই এলাকায় গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। স্যার প্যাট্রিকের ডায়েরিতে থেচারের জার্মানবিদ্বেষী মনোভাব নিয়েও কথা বলা হয়। তিনি লেখেন, থেচার বিশ্বাস করতেন যে জার্মান ভাষাভাষী লোকেরা ব্রিটিশদের ওপর কর্তৃত্ব করবে। জার্মানদের পুনঃএকত্রীকরণের ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলা মানেই হচ্ছে অযাচিত হস্তক্ষেপ। ডায়েরিতে বলা হয়, বিদেশী বিষয়ে থেচারের মনোভাবের কারণে তার পররাষ্ট্রসচিব ডগলাস হার্ডকে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ এখন তিনটি বিষয় নিয়ে- গঠিত সংসদীয় বিষয়, পারিবারিক ঘটনা ও জনভীতি।
×