ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলহাজ জুট মিলে কর্মবিরতি ॥ জিএম অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

আলহাজ জুট মিলে কর্মবিরতি ॥ জিএম অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২৪ জানুয়ারি ॥ সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার পাটকল আলহাজ জুট মিলে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার কর্মবিরতি পালন করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাটকলটির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সঞ্জয় কুমার সরদারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। আলহাজ জুট মিলের বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, পাটকলের ১১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তিন মাস ধরে অর্ধ কোটি টাকার বেতন বকেয়া রয়েছে। পাটকল কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধ না করে নানা তালবাহানা করায় বুধবার সকাল ছয়টা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কার্যালয় ছেড়ে বাইরে নেমে আসেন। তারা পাটকলটির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সঞ্জয় কুমার সরদারকে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তারা পাটকলের প্রধান ফটক ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন পাটকলটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা হোসনেয়ারা বেগম, হিসাব কর্মকর্তা অপেন্দ্র কিশোর সরকার, ব্যবস্থাপক (পাট) সাহাব উদ্দিন, সহ-উৎপাদক আব্দুর রাজ্জাক, পারচেজ কর্মকর্তা গোলাম রাশেদ প্রমুখ। তারা বকেয়া পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে আলহাজ জুট মিলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সঞ্জয় কুমার সরদার বলেন, উৎপাদিত পণ্যের বিদেশের বাজার মন্দা হওয়ায় এই পাটকল অর্থ সঙ্কটে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সামনের সপ্তাহে বেতন পরিশোধের চেষ্টা করা হবে। জিংক সমৃদ্ধ ধানের সম্প্রসারণ শীর্ষক মতবিনিময় নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৪ জানুয়ারি ॥ ‘জিংক ধান করলে চাষ, পুষ্টি পাবে বারো মাস’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুষ্টিকর জিংক সমৃদ্ধ ধানের সম্প্রসারণ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা বুধবার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাউদুদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য প্রদান করেন, হারভেস্ট প্লাসের কান্ট্রিডিরেক্টর খায়রুল বাশার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জেলা এডিবি ম্যানেজার লিওবার্ড চিসিম, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক প্রমুখ। সভায় জানানো হয়, মানব দেহ জিংক পেলে ছেলেমেয়ে খাটো হয় না, শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়, ক্ষুধা মন্দা দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কিশোরী মেয়ে ও গর্ভবর্তী মায়ের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং গর্ভের সন্তানের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দৈনিক শিশুদের ৩-৫ মিলিগ্রাম ও মহিলাদের ৮-৯ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন হয়।
×