ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিএল

দুই ড্র ম্যাচে ১২ সেঞ্চুরি, ৭ উইকেট সোহাগের

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

দুই ড্র ম্যাচে ১২ সেঞ্চুরি, ৭ উইকেট সোহাগের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে ছিল রানের বন্যা। ব্যাটসম্যানরা রানোৎসব করেছেন। দুই ম্যাচে হয়েছে গুণে গুণে এক ডজন অর্থাৎ ১২টি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে হওয়া ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের ম্যাচে হয়েছে তিন ইনিংসে ৬ সেঞ্চুরি। এ ম্যাচে হয় ১৩৮৯ রান। তবে পূর্বাঞ্চলের অফস্পিনার সোহাগ গাজী নেন ৭ উইকেট। আর রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ও বিসিবি উত্তরাঞ্চলের ম্যাচে হয়েছে আরও ৬ শতক। এ ম্যাচে হয়েছে ১১৯৭ রান। দুই ম্যাচে ২৫৮৬ রান হয়েছে ৬ ইনিংসে। ব্যাটসম্যানদের এই রানবন্যায় শেষ পর্যন্ত দুটি ম্যাচই ড্রয়ে শেষ হয়েছে। তবে তিন রাউন্ড শেষে উত্তরাঞ্চল ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, পূর্বাঞ্চল ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। আর দক্ষিণাঞ্চল ২৬ ও মধ্যাঞ্চল ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে। বুধবার চারদিনের ম্যাচের শেষদিন জমে উঠেছিল খুলনায়। চার সেঞ্চুরিতে (একটি ডাবল) প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চল ৬ উইকেটে ৭৩৫ রান তুলে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছিল মধ্যাঞ্চলকে। তারা তৃতীয়দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৫২ রান তুলেছিল। চতুর্থদিন তারা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৪২৮ রানে। ৫ জন করেন হাফ সেঞ্চুরি। এমন রানের বন্যার ম্যাচেও সোহাগ ৭ উইকেট শিকার করেন। ৩০৭ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে মধ্যাঞ্চল। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামে পূর্বাঞ্চল। বিনা উইকেটে ২২৬ রান তুলে তারা তাসামুল হক ও মেহেদি মারুফের সেঞ্চুরিতে। তাদের জুটি ভাঙ্গতে মধ্যাঞ্চলের উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরসহ ১১ জনই বোলিং করে গলদঘর্ম হন। উভয় ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি হাঁকান। তাসামুল ১৬০ বলে ১২ চারে ১০৮ এবং মারুফ ১৫৩ বলে ১০ চার, ২ ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচটি ড্র হয়। অপর ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চল তৃতীয়দিন শেষে করা ৮ উইকেটে ৪২৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৪৩৩ রানেই গুটিয়ে যায়। শফিউল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম ৪টি করে উইকেট নেন। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে উত্তরাঞ্চল ৫ উইকেটে ৩৫৬ রান তোলার পর ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রান করা জুনায়েদ সিদ্দিকী আবারও সেঞ্চুরি হাঁকান। তিনি ১৭০ বলে ১৬ চার, ১ ছক্কায় ১৫০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরে ঝড় তোলেন। তিনি মাত্র ৮৩ বলে ৬ চার, ৬ ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬১ রান করেন নাঈম ইসলাম। এ ম্যাচটিতে হয়েছে ১১৯৭ রান।
×