ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায় ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

ছাত্রলীগ জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায় ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ‘আওয়ামী লীগের চরিত্র’ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা ছাত্রলীগের নতুন কোন বিষয় নয়। বহুবার শিক্ষকদেরকে মেরেছে, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মেরেছে। যখনই তাদের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ডিক্টোরিয়াল অথরিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তখনই তাদের হাতিয়ার হয়ে ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে উল্লেখ করেন। বুধবার দুপুরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ জোর করে দেশ-সমাজ-রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। কিন্তু তারা তা পারবে না। এর অবসান হবেই। এ দেশের মানুষ নিঃসন্দেহে তাদের পরাজিত করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিরেকে দেশের জনগণ ভোটে যাবে না। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে জাতীয় নির্বাচন যাতে না হয়। সত্যিকার অর্থে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে তারা আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেজন্যই তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে সংবিধান সংশোধন করেছে। নির্বাচনকালীন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই, সমান সুযোগ চাই। স্পষ্ট করে বলেছি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহন করবে না। যতই নিপীড়ন-নির্যাতন করা হোক না কেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে জনগণকে ‘দূরে সরানো যাবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজকে ক্ষমতাসীন সংগঠনটি এই অবস্থা চালু করেছে। এটা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়, সমগ্র দেশে, সমগ্র সমাজে, সমগ্র রাষ্ট্রে তারা জোর করে, মাস্তানি করে, গু-ামি করে ক্ষমতা দখল করে থাকতে চায়। এটা সমর্থন দেয়া যায় না, এর অবসান হবেই। এদেশের মানুষ নিঃসন্দেহে তাদেরকে পরাজিত করবে। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল, আওয়ামী লীগের দাবিতেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলাম, তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। আজকে তারা দলীয় সরকারের অধীনে জোর দিয়ে নির্বাচন করছে। জোর করেই করছে এবং বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করছে। সরকার গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের ভোট দেয়ার ন্যূনতম অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। কথা বলার, লেখার ও সংগঠন করার সুযোগ নেই। রাস্তায় বের হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গেলে দলের তরুণ নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার চাই। যা ছিল, এ দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেছিল। তিনটি নির্বাচন এখানে হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে অভিযোগ করা হচ্ছে।
×