ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লড়াই আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লড়াই আজ

মিথুন আশরাফ ॥ ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ হওয়ার পথে। আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি। আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ম্যাচ হবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এরপর ২৭ জানুয়ারি ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ হয়ে যাবে। সেই ফাইনাল ম্যাচের এক দল হচ্ছে বাংলাদেশ। আরেকদল কারা? সেই প্রশ্নের উত্তর আজ মিলবে। শ্রীলঙ্কা নয়তো জিম্বাবুইয়ে হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি শেষ হতেই সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলে যাবে। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুইয়ে কোন এক দল ফাইনালে খেলবে। দুই দলেরই সম্ভাবনা এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছে। দুই দলেরই যে পয়েন্ট সমান। বাংলাদেশ যেভাবে সিরিজে দাপট দেখাচ্ছে, প্রতিটি ম্যাচের প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিচ্ছে; আজ শ্রীলঙ্কাকেও যে বড় ব্যবধানে হারাবে না তা কেউই বলতে পারে না। যদি তাই হয় তাহলে শ্রীলঙ্কার বিদায় ঘণ্টা বাজবে। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ থাকবে জিম্বাবুইয়ে। রানরেটে জিম্বাবুইয়ের চেয়ে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে আছে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে বাজেভাবে হারলে জিম্বাবুইয়ের চেয়ে রানরেট কমে যাবে শ্রীলঙ্কার। তখন জিম্বাবুইয়েই ফাইনালে খেলবে। আর যদি শ্রীলঙ্কা আজ কোনভাবে জয় তুলে নিতে পারে তাহলে লঙ্কানরাই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করবে। কিংবা বাংলাদেশের বিপক্ষে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হারে তাহলেও শ্রীলঙ্কা ফাইনালে খেলবে। শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাই ভাবছে। এরপর সুযোগ বুঝে জয় পেতে চাইবে লঙ্কানরা। যে জয়টি এ মুহূর্তে লঙ্কানদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে জয় পাওয়া যে কতটা কঠিন তাতো বুঝেও গেছে হাতুরাসিংহের শ্রীলঙ্কা। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস এখন বেড়ে গেছে। দলটি নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে জিম্বাবুইয়েকে হারিয়েছে। একটি জয় একটি দলের মোমেন্টামই পরিবর্তন করে দেয়। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে জয়টি যদি শ্রীলঙ্কার জন্য তাই হয়ে দাঁড়ায় তাহলে অন্য এক শ্রীলঙ্কা দলকেই দেখা মিলবে। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল যেমন বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমাদের ভাল খেলতে হবে। আমরা যে জায়গায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব শুধু ওটাই ফোকাস করতে হবে। তাহলেই ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে এবং আমরা সেটাই করব।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘এ ধরনের টুর্নামেন্টে প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে গেলে সবসময়ই কঠিন। কিন্তু কখনও কখনও এটা আপনাকে শক্তভাবে ফিরতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। দল হিসেবে আমরা ওভাবেই দেখছি এবং ভাল কিছু করে ফিরতে চাইছি। যে কোন দলের সঙ্গে আমরা জিততে পারি।’ কিন্তু সেই কাজটি কি সহজ। দলে এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও কুশল পেরেরা নেই। ইনজুরিতে দলের সেরা দুই ক্রিকেটার না থাকা মানে তো দল দুর্বল হয়ে পড়া। সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা চার ম্যাচের চারটিতেই জেতার আশার কথা বলেছিলেন। ম্যাচ যেটিই হোক জিতে মোমেন্টাম ধরে রাখাই মূল লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন। টানা তিন ম্যাচ জিতেছেও বাংলাদেশ। এখন আজ যদি বাংলাদেশ জিতে তাহলে চারে চার ম্যাচে জয় হয়ে যাবে বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যেই খেলতে নামবে বাংলাদেশ। মাশরাফিই যেমন বলেছেন, ‘মোমেন্টাম ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারব।’ বাংলাদেশ যদি জিতে যায় তাহলে চার ম্যাচের চারটিতে জয় মিলবে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সেটিই চান। বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচ হারতে চাই না, বড় কথা হলো এটাই। কালকের (আজকের) ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আলাদা একটা ওয়ানডে ম্যাচ। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর ফাইনাল তো অবশ্যই ফাইনাল।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলে চারে চার জয় হবে বাংলাদেশের। যদি ভাল ব্যবধানে জিততে পারে তাহলে শ্রীলঙ্কার বারোটা বেজে যাবে। বিদায় হয়ে যাবে লঙ্কানদের। কিন্তু শ্রীলঙ্কা যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারে তাহলে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ থাকবে শ্রীলঙ্কাই।
×