ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয় মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত লালু

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

তৃতীয় মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত লালু

ভারতের বিহার রাজ্যের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে বুধবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। লালু প্রসাদ ছাড়াও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এই ধরনের কেলেঙ্কারির মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি মামলায় ইতোমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু প্রসাদ। ফলে দুর্নীতি মামলায় তার সঙ্কট আরও বাড়ল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। এর আগে ৬ জানুয়ারি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় দেওঘর কোষাগার মামলায় লালু প্রসাদ যাদবকে তিন বছর ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ২৩ ডিসেম্বর রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত আরেকটি মামলাতেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এক্ষেত্রে ভুয়া নথি দেখিয়ে দেওঘর কোষাগার থেকে প্রায় ৮৯ লাখ রুপী তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মোট নয় শ’ ৫ কোটি রুপীর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর কোষাগার মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু বর্তমানে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে রয়েছেন। বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত যে রায় দিয়েছে তা ১৯৯২-১৯৯৩ সালে চাইবাসা কোষাগার থেকে ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ রুপী অবৈধভাবে সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা। ওই সময় অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। রায়ে বলা হয়, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬৩ সালে চাইবাশা ট্রেজারির কাছ থেকে লালু প্রসাদ ৩ কোটি ৬৭ লাখ রুপি আত্মসাত করেছেন। বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র পশুখাদ্য খালাস করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি চাইবাসা কোষাধ্যক্ষের কাছে দলীয় তহবিলের জন্য চাঁদা আদায় করেন। অভিযোগে বলা হয়, ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ রুপী উত্তোলন করা হয়।
×