ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আরও এক লাখ টন নন বাসমতি চাল আমদানি॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

আরও এক লাখ টন নন বাসমতি চাল আমদানি॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খাদ্য ঘাটতি মেটাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থকে আরও এক লাখ টন নন বাসমতি চাল আমদানি করবে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চলতি বছর আটটি দেশ থেকে মোট ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়াদি চুক্তির আওতায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ এবং জানুয়ারি থেকে জুন প্রান্তিকে প্রিমিয়াম ও মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া ও টিএসপি সার কিনবে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ২৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৫ মার্কিন ডলারে এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ভারত থেকে ওই ১ লাখ টন নন বাসমতি চাল আমদানির কাজ করবে রশিদ এগ্রো-প্রোডাক্টস। এ জন্য ব্যয় হবে ৪২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এদিকে, চলতি বছর আটটি দেশ থেকে মোট ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। আটটি দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন) মেয়াদি চুক্তির আওতায় গ্যাস অয়েল, ফার্নেস অয়েল, জেট এ-১ আমদানি করবে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, (চলতি বছর) গ্যাস অয়েল কেনা হবে ১০ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। জেট এ-১ আমদানি হবে এক লাখ ১০ হাজার টন। এছাড়া ফার্নেস ওয়েল আমদানি হবে ২ লাখ ৬০ হাজার টন। তিনি বলেন, সবগুলো আইটেমের প্রিমিয়াম হচ্ছে ২৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। মূল প্রাইস তো রেফারেন্স প্রাইস, শিপমেন্টের সময় একেক সময় এক একটা হবে। এছাড়া এবার এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া ও টিএসপি সার কিনবে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ২৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গ্রুপ ক্রিমিকিউ তিউনিশিয়া ও বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে প্রথম লটের ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসসি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। তিনি বলেন, প্রতি টন ২৯০ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার করে এই (২৫ হাজার টন) সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি ও বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মধ্যে চুক্তির আওতায় প্রথম লটের ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসসি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি।অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রতি টন ৩০৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ব্যয়ে এতে মোট খরচ হবে ৬৩ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোটেশনের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মেসার্স পোটন ট্রেডার্স ৭৩ কোটি ৮০ হাজার টাকায় ২৫ হাজার টন এবং মেসার্স হাইড্রোকার্বন ৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় বাকি ২০ হাজার টন সার আমদানি করবে। অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় লটে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি টন ২৫০ মার্কিন ডলারে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৫২ কোটি টাকা।
×