ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের স্ত্রী ও যুবকের নগ্ন ছবি তুলে চাঁদা দাবি ॥ গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের স্ত্রী ও যুবকের নগ্ন ছবি তুলে চাঁদা দাবি ॥ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৩ জানুয়ারি ॥ শহরের গোয়ালপাড়ায় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ও এক যুবককে বিবস্ত্র করে মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার ঘটনায় পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। জানা যায়, পঞ্চগড়ের বোদা থানায় কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ও দুই ছেলে ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করে। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় দুই সন্তানের জননী পুলিশ পতœী বাড়িতে একাকী থাকাকালে ৫-৭ যুবক ওই বাসায় ঢুকে পড়ে। তারা মোজাম্মেল হক নামে অপর যুবককে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গৃহকর্ত্রীর শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই যুবককে বিবস্ত্র করে পুলিশ পতœীর সঙ্গে অশালীন ভঙ্গিমায় মেলামেশার নগ্নছবি মোবাইলে ধারণ করে। ওই সময় গৃহবধূ বাধা দিলে রিপন, সোহাগ, নাহিদ, বাপ্পী ও নুরজামান তাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতারি মারপিট করে। শুধু তাই নয়, ওই দুর্বত্তরা এক শ’ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পুলিশ পতœী ও ওই যুবককে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। পরে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ছবিকে পূঁজি করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাদের অশালীন ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায়। নিরুপায় হয়ে পুলিশ পতœী তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দেয়। তারা অবশিষ্ট টাকা বিকাশ করে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শনিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ টানা অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি পূর্ব গোয়ালপাড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে নুর জামান ওরফে ছুটু (২৫), ইসলাম দক্ষিণ সালন্দর মুন্সিপাড়া গ্রামের জামাল ড্রাইভারের ছেলে বাপ্পী ইসলাম (২৬) এবং মাদ্রাসা পাড়া মুসলিম নগর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে নাহিদ হোসেন (২৮) নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার এজাহার নামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×