ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বাজেটে এ খাতে কর বাড়ানো হচ্ছে;###;প্রণয়ন হচ্ছে তামাক শিল্পনীতি;###;৩ বছর পর বিড়ি উৎপাদন নয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ এসডিজি অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

তামাক নিয়ন্ত্রণ এসডিজি অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ

এম শাহজাহান ॥ ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ’ এ মুহূর্তে টেকসই উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পবয়সীদের তামাকসেবন ও ধূমপানে আসক্তি হয়ে পড়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। উত্তরবঙ্গ দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষিজমিতে ধান, পাট, গম কিংবা অন্যান্য শস্যের পরিবর্তে চাষ হচ্ছে তামাক। যদিও তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব এসডিজির শুধু তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রাতেই (সুস্বাস্থ্য) নয়, বরং ১৭টি ক্ষেত্রেই রয়েছে। এ কারণে তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে এ খাত থেকে ট্যাক্স ও ভ্যাট আদায় বাড়াতে বিশেষ কৌশল নিচ্ছে সরকার। আগামী তিন বছরের মধ্যে বিড়ি উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রণয়ন করা হচ্ছে শক্তিশালী তামাক-শিল্পনীতি। এ ছাড়া তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর এক শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করা হতে পারে। জানা গেছে, উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এবার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে নিশ্চিত হবে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির স্থায়িত্ব উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ’ কর্মসূচী গ্রহণের পরিককল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চার কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করে। এতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। ধূমপানজনিত অসুস্থতার কারণে জিডিপিতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের গড়ে মাসিক খরচের পাঁচ ভাগ ব্যয় হয় তামাকে। সূত্রমতে, তামাকসেবনের কারণে প্রতি ছয় সেকেন্ডে বিশ্বে একজনের মৃত্যু হচ্ছে এবং ধূমপায়ীদের অর্ধেকেরই মৃত্যুর কারণ তামাক। এ কারণে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীটি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য আদায়কৃত সারচার্জের টাকা ব্যবহার করা হবে। ধূমপান বিরোধী ব্যাপক প্রচারণা, ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে তামাকজাতপণ্য বিক্রির জরিমানা আইন বাস্তবায়ন এবং তামাকজাত পণ্যের মোড়কে বাধ্যতামূলক সতর্কবাণী প্রচার এবং তামাকের পরিবর্তে কৃষকদের ধান চাষে উদ্বুদ্ধকরণের মতো চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ধূমপানে আসক্তির হার প্রায় সাত শতাংশ। এ ছাড়া বাংলাদেশে শহরে বসবাসরত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৪৬ দশমিক ছয় শতাংশ পাবলিক প্লেসসমূহে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাকসেবন নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বিশ্বের এক কোটি দশ লাখ জীবন পাবে। অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, তামাকখাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায়, তামাক ব্যবহারের কারণে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে তার দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এসডিজি বা টেকসই উন্নয়নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে কৃষকরা তামাক উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে কৃষিপণ্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক কর্মক্ষম জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বছরে পঙ্গু হচ্ছেন প্রায় চার লাখ মানুষ। পরিবেশ-প্রতিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, জমির উর্বরতা, শিশুশ্রম, শিক্ষাসহ উন্নয়নের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তামাক পণ্যের ব্যবহাররোধ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়। এ ছাড়া গাইডলাইন হিসেবে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতি-২০১৭ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, তামাকমুক্ত থাকতে জনসাধারণকে সচেতন করা, তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ও চাষীদের তামাক উৎপাদন থেকে ফেরানোসহ ১৪টি খাত চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব খাতে সারচার্জের অর্থ ব্যয় করা হবে। সূত্রমতে, বিশ্বের ১১টি দেশের মতো বাংলাদেশেও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো তামাকপণ্যের ওপর এক শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করা হয়। এ পর্যন্ত এ খাতে আয় হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর শেষে এ খাতের জন্য সরকারী তহবিল জমা হবে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা। সারচার্জ আরোপের প্রথম বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, সারচার্জ থেকে অর্জিত অর্থ তামাক ব্যবহারজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় ও পুনর্বাসনে ব্যয় করা হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সম্প্রতি বলেন, সারচার্জ থেকে পাওয়া অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিড্স (সিটিএফকে) ও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস-এর সহায়তায় আয়োজিত সম্প্রতি এক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানিয়েছেন, সারচার্জের অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্যই আদায় করা হয়, সুতরাং এই অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজেই ব্যবহার করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ্রগতির জন্য জ্ঞানের (প্রজ্ঞা) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সারচার্জের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচী না দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়ছে। সারচার্জ ব্যবহারের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন স্বাস্থ্য উন্নয়নে অর্থ সরবরাহে মসৃণ প্রবাহ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারীখাতের তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো এ বিষয়ে সোচ্চার ও তৎপরতা বাড়িয়েছে। আশা করছি, বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ঘোষিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও এসডিজি অর্জনে বড় বাধা ॥ দারিদ্র্য বিমোচন ও এসডিজি বাস্তবায়নে বড় বাধা তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। এসডিজির প্রায় প্রতিটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসডিজি অর্জন করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব এসডিজির শুধু তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রাতেই (সুস্বাস্থ্য) নয়, বরং ১৭টি ক্ষেত্রেই রয়েছে। বেসরকারী গবেষণা সংস্থা প্রজ্ঞার গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য নির্মূল এসডিজির প্রথম লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে তামাক শক্তিশালী বাধা। ইনিস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স এ্যান্ড ইভালুয়েশন-আই এইচ এম ই, ২০১৩) তথ্যমতে, ধানের চেয়ে তামাক চাষে তিনগুণ বেশি ইউরিয়া সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে বর্তমানে তামাক চাষের জমি তিনগুণ বেড়েছে। যে ১৪টি খাতের সারচার্জের অর্থ ব্যবহার হবে ॥ খসড়া নীতিমালায় স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ খরচের জন্য যে ১৪টি খাতের নাম উল্লেখ করা হয়েছে-তাতে বলা হয়েছে, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের সকল পর্যায়ে টাস্কফোর্সের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা, এনবিআরের অধীন তামাক কর সেলের কার্যক্রম পরিচালনা, তামাকের ক্ষতিকর দিক ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালান, সংশ্লিষ্ট স্টক হোল্ডারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া তামাকের ব্যবহার ও ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা, তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, সরকারী বিভিন্ন ক্যাডারের প্রশিক্ষণ কারিকুলামে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্পৃক্ত করতে কার্যক্রম গ্রহণ, কমিউনিটিভিত্তিক তামাকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, তামাক ব্যবহার ত্যাগ করতে জাতীয় কুইটলাইন স্থাপন, তামাকজনিত অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধবিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা, তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকজনিত অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কর্মরত সংস্থাগুলোর জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা এবং তামাক চাষ রোধকল্পে সাধারণ জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও তামাক চাষীদের বিকল্প ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, তামাকবিরোধী প্রচারণা চালানোর ওপরই তারা বেশি জোর দিচ্ছেন। কারণ সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ১৫ বছরের কম বয়সী অনেক ছেলে-মেয়ে সিগারেট ও তামাক পণ্যে আকৃষ্ট হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) স্বাক্ষর করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্পীকারদের সম্মেলনে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চ্যালেঞ্জসমূহ ॥ তামাক কোম্পানিগুলোর কাছে অসহায় সংশ্লিষ্টরা। পার্লামেন্টের সদস্য থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তারা তামাক কোম্পানির পক্ষে কাজ করছেন। ফলে বাজেট তৈরির সময় এ শিল্পে শুল্ক বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। শুল্ক না বাড়ানোর পক্ষে এমপিদের ‘ডিও’ একটি বড় সমস্যা। এ ছাড়া তামাক কোম্পানিগুলোতে সরকারী অংশীদারিত্ব থাকাও একটি বড় সঙ্কট তৈরি করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস জনকণ্ঠকে বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোতে সরকারের শেয়ার রয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কোম্পানির বোর্ডে রয়েছেন। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এরপরও দেশকে তামাকমুক্ত করতে সরকারীভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী নেয়া হচ্ছে। তিন বছরের মধ্যে বিড়ি উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে ॥ ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আগামী তিন বছরের মধ্যে বিড়ি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি জানিয়েছেন, বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়েও বেশি। বিড়ি এখন আর বিড়ি নয়। এটি মোটামুটি একটি সস্তা সিগারেট এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আগামী তিন বছরের মধ্যে বিড়ি উৎপাদন দেশে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে।
×