ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১ মাসে ৩৫ মোটরসাইকেল চুরি

বাঁশখালীতে মোটরসাইকেল চোর চক্র বেপরোয়া

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

বাঁশখালীতে মোটরসাইকেল চোর চক্র বেপরোয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ২২ জানুয়ারি ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ১ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে অন্তত ৩৫টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে এ চক্র। চোর চক্রের সদস্যদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষসহ পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। ভুক্তভোগীরা মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে না নেয়ার অভিযোগ করছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এ সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৌর সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরির সঙ্গেও সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রভাবশালী মহল। সবশেষ ২০ জানুয়ারি উপজেলা সদরের মাছবাজার এলাকার সুভাস বিল্ডিংয়ের নিচ তলা হতে থানা পুলিশের এস.আই উৎপল চক্রবর্তীর ব্যবহৃত এপাসি-আর-টি-আর যার নং-চট্টমেট্টো ল-১৩১৫৮৯ লাল রঙের মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে গেছে চক্রের সদস্যরা। এর পূর্বেও থানা পুলিশের এস.আই দেবব্রত ভট্টাচার্য ও কনস্টেবল একাম উদ্দীনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও চোর চক্রের সদস্যরা চুরি করে নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে চোর চক্রের সদস্যদের বেপরোয়া তা-বের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে সোমবার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া ইতোপূর্বে এ চক্রের অনেক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। জানা যায়, উপজেলার পৌর সদরসহ ১৪টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট সদস্যরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তাদের কর্মকা- নির্বিঘেœ চালাচ্ছে। এ চক্রের বিরুদ্ধে থানা পুলিশও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। যার ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট। চোর চক্রের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও। তাদের রয়েছে মোটরসাইকেল চুরির অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। যার ফলে অনায়াসে মোটরসাইকেল চুরির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এদিকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উদ্বিঘœ।
×