ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে সাধারণ আলোচনা

খালেদা জিয়ার জোড়া তালির রাজনীতি জনগণ আর দেখতে চায় না

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

খালেদা জিয়ার জোড়া তালির রাজনীতি জনগণ আর দেখতে চায় না

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গী, সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জোড়াতালির রাজনীতি এদেশে আর চলবে না। দেশের জনগণ তা আর দেখতে চায় না। নিজে জোড়াতালির রাজনীতি করেন বলেই পদ্মা সেতুতে জোড়াতালি দেখেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসী আগামী নির্বাচনে আবারও ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে রবিবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সরকারী দলের মীর মোস্তাক আহমেদ, বেগম লুৎফুন্নেসা, আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক, সফুরা বেগম ও ন্যাপের আমিনা আহমেদ। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে তরুণ প্রজন্মের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন। তাদের সামনে অমীত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধাপরাধীসহ সব অপরাধের বিচার করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, বিচারহীনতার কলঙ্ক মুছে দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারাবিশ্বে প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, দেশের সম্পদ ধ্বংস করে- তারা যাতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যেমন ফাঁসির দড়িও টলাতে পারেনি, তেমনি তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও কোন ষড়যন্ত্র, বুলেট-গ্রেনেড, রক্তচক্ষু দমাতে পারেনি। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে দেশবাসী আবারও তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবে আগামী নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। খালেদা মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের বল্গাহীন সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই দক্ষহাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া ও ইউনুস গংদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুতে জোড়াতালি দেখেন। তিনিই তো জোড়াতালির রাজনীতি করেন। স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গী, সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার জোড়াতালির রাজনীতি এদেশে আর চলবে না। দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। সারাবিশ্বের গণমাধ্যমে জিয়া পরিবারের দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে, প্রমাণিত হয়েছে। ন্যাপের আমিনা আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। তবে খেলাপী ঋণ কঠোরভাবে আদায় করতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। বলা হয়, খেলাপী ঋণ আদায় করতে পারলে আরেকটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে। বাজার সিন্ডিকেট ও মুনাফাকারীদেরও শক্তহাতে দমন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে এবং আগামী নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র যেন বাস্তবায়ন হতে না পারে সেজন্য এখন থেকেই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, এই জোটটি এখনও পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণাকে লালন-পালন ও ধারণ করে। এরা সবসময় দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। পদ্মা সেতু নিয়েও এরা ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, যাবেই। আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক বলেন, যেভাবে দ্রুত গতিতে দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ২০২১ নয় তার আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। দেশের জনগণ সারাবিশ্বের মধ্যে সৎ ও প্রজ্ঞাবান নেতা শেখ হাসিনাকেই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করবে।
×