নিজেকে সুস্থ এবং সুখী রাখার চেষ্টা করুন : কথায় বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীর সুস্থ না থাকলে প্রতিদিনের কাজ করাই কষ্ট হয়ে যায়। যখন আপনি বাড়তি কাজ করতে চাইবেন। তখন আপনাকে তার জন্য বাড়তি শক্তিরও প্রয়োজন হবে। মানসিকভাবে আপনাকে সুখী থাকতে হবে। অনেকেই কাজের চাপে নিয়মিত খাবার খায় না। এতে সে একটা সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আপনি মানসিক, শারীরিকভাবে যত বেশি সবল থাকবেন। প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে আপনার মস্তিষ্ক তত বেশি কাজ করবে। তাই কাজের ফাঁকে আপনাকে প্রয়োজনমাফিক বিশ্রামও নিতে হবে। তাই নিজের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম, খাবার বিশ্রামের প্রতি গুরুত্ব দিন।
নিজের কাজের প্রতি ইতিবাচক থাকুন : যে কোনো কাজের ভাল ফলাফলের জন্য ইতিবাচক চিন্তা জরুরী। কোন কাজের প্রতি আপনি যখন ইতিবাচক চিন্তা করবেন, তখন ওই কাজটি করার প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি থাকবে। আগ্রহ নিয়ে করা কাজগুলোতে সফলতা আসবেই। প্রয়োজনে ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে কাজ নিয়ে কথা বলুন। এতে আপনি তাদের থেকে কাজের প্রতি উৎসাহ। শক্তি পাবেন। নিজের কাজের প্রতি সম্মান রাখুন। ইতিবাচক মনোভাব তৈরির জন্য ইতিবাচক বই পড়ুন, ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে চলুন।
কাজের তালিকা তৈরি করুন : নিয়মিত কোন কাজ শেষ করে বাড়তি কাজ করতে হলে আপনাকে তালিকা তৈরি করে কাজ করতে হবে। অনেক কাজ একত্রিত হলে কাজ আগে-পরে করা নিয়ে ঝামেলা হয়। তাই কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী আপনার কাজের একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি পরের দিন কি কি কাজ করবেন। তা রাতে ঘুমানোর আগে লিখে রাখুন। সেই তালিকা অনুযায়ী সকাল থেকে কাজ শুরু করুন। এতে নির্দিষ্ট সময়ে সব কাজ শেষ করতে পারবেন।
কমপক্ষে একটি কাজ দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করুন : প্রতিদিন এমন একটি কাজ করুন। যা দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়ে যায়। সেই কাজটি ছোট কিংবা বড় হোক। এভাবে লক্ষ্য ঠিক করে প্রতিদিন একটি কাজ শেষ করুন। দেখবেন, সপ্তাহ-মাস শেষে আপনার অনেক কাজ করা হয়েছে।
‘না’ বলতে শিখুন : ‘না’ বলাটা সবার জন্য একটি বৈধ প্রক্রিয়া। কিন্তু সবাই ‘না’ বলতে পারে না। আপনাকে যদি কোন কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়, সেই কাজে যদি আপনার আগ্রহ না থাকে তাহলে তা ‘না’ বলে দিন। যদি কোন কাজে আপনার আগ্রহ না থাকে কাজটি করে আনন্দ না পান, কাজটিকে প্রয়োজনীয় না মনে করেন। তা হলে সেই কাজের প্রতি ‘হ্যাঁ’ বলবেন না।
সঠিক ধারণা নিয়ে কাজ করুন : কোন কাজের প্রতি আপনার যত ধারণা থাকবে। সেই কাজটির প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি থাকবে। আপনি যে কাজ জানেন না, সে কাজ করতে গেলে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। তাই কাজে সফলতার জন্য কাজ করার আগে সেই কাজ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিন। ধারণা নিতে যা করতে পারেন, কাজটি সম্পর্কিত বই পড়ুন। অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন।
ভুল, ব্যর্থতা থেকে শিখে নতুনভাবে শুরু করে এগিয়ে যান : উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ‘রিচার্ড ব্র্যানসন’ ভুলগুলোকে আলিঙ্গন করে। তাদের কাজ থেকে শিখতে বলেছেন। কাজে ব্যর্থ হয়ে বসে থাকলে নিজেকে দোষী মনে হবে। যা আপনার কর্মক্ষমতা হ্রাস করে দিতে পারে। তাই ব্যর্থতার জন্য মন খারাপ না করে, সেখান থেকেই শিখুন। শুরু করুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান।
নিজেকে নিজেই পুরস্কৃত করুন : ছোট-বড় যে কোন কাজ সফলভাবে করে নিজেকে নিজেই তার জন্য একটা উপহার দিন। সেটা এক কাপ চা, কফিও হতে পারে। এতে করে নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। কাজের অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে। যা পরবর্তী কাজ করতে উৎসাহ যোগাবে।
আত্মবিশ্বাস নিয়ে সব কাজ করুন : আপনাকে দিয়েই হবে। আপনি এই কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তি। এমন চিন্তাধারা নিয়ে কাজ শুরু করুন। যে কোন কাজে সফল হতে মানসিক শক্তি আগে দরকার। তাই কোন কাজের আগে, নিজেকে সেই কাজের যোগ্য মনে করুন। আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ শুরু করুন দেখবেন, কাজের সফলতা আপনার আসবেই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: