ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রী

মরে যাওয়া ১২শ’ কিমি নৌপথ খননের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

 মরে যাওয়া ১২শ’  কিমি নৌপথ খননের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হয়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ ২০০৯ সাল হতে দেশের মরে যাওয়া প্রায় ১২শ’ কিলোমিটার নৌ-পথ খননের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৫৩টি নৌপথ ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় এবং ১২টি নৌপথ খনন প্রকল্পের ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে নৌপথ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় আরও ১৭৮টি নদী খনন করা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নের উত্তর দেন পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ছয় হাজার কিলোমিটার ও শুষ্ক মৌসুমে চার হাজার কিলোমিটার। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে আরিচা ও দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। উক্ত ঘাটে দৈনিক গড়ে চার হাজার ৪শ’টি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে নাব্যতা সঙ্কট, ঘাট বিপর্যয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (কুয়াশা), আটরশি ও চন্দ্রপাড়ার ওরশ এ ধরনের বিশেষ কারণে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পারাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে থাকে। কেবলমাত্র কুয়াশাজনিত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করলে ফেরি পারাপারে প্রলম্বিত হয়। তবে এ কুয়াশা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক হয়ে থাকে। সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ভয়াবহ নৌ দূর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী নৌযান ও টাগ জাহাজ সংগ্রহের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সে অনুযায়ী ভয়াবহ নৌ-দূর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী নৌযান, টাগ জাহাজ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রাদি সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের জন্য প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রস্তাব বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদন সাপেক্ষে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী নৌযান ও টাগ জাহাজ সংগ্রহের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ উদ্ধারকাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি টাগ ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা ক্রয়ের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপণ, চরাবদ্ধ জলযান উদ্ধার, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাতীয় যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রামের বন্দর ছাড়াও মংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাগ ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার দেশের ৪৯১টি অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উক্ত পরিকল্পনায় আওতায় সরকার ১৭৮টি নদী খনন করবে।
×