ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোর্ট ইন্সপেক্টরের পাঠানো কাগজে জঙ্গী সম্পর্কে নির্দেশনা না থাকায় সমস্যা হয়

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

 কোর্ট ইন্সপেক্টরের  পাঠানো কাগজে  জঙ্গী সম্পর্কে নির্দেশনা না থাকায় সমস্যা হয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালত থেকে কারাগারে কোর্ট ইন্সপেক্টরের পাঠানো কাগজে জঙ্গী ও সাধারণ বন্দী সম্পর্কিত স্পষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকায় জঙ্গী বন্দী সম্পর্কে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়। শুধুমাত্র মিডিয়ায় সংবাদ দেখেই কারা কর্তৃপক্ষ সাধারণ বন্দী থেকে জঙ্গীদের পৃথক সেলে রাখা হয়। তাই কারাভ্যন্তরে জঙ্গীদের সঙ্গে সাধারণ বন্দীরা ‘জঙ্গীবাদ চর্চা’ তো দূরের কথা মেশারই কোন সুযোগ নেই। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রায় দুই মাস পর বন্দী জঙ্গী কি না তা রিপোর্ট প্রদান করা হয় বিধায় কারাভ্যন্তরে প্রথম জঙ্গীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। রবিবার রাজধানীর উমেশদত্ত রোডে কারা অধিদফতরে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে কারা মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন। সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই জঙ্গীরা থাকছেন। কারাগারে বন্দী জঙ্গীরা সাধারণ কয়েদিদের জঙ্গী কার্যক্রমে প্ররোচিত করছে গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ ইফতেখার বলেন, দেশের ৬৮ কারাগারে মোট কয়েদির সংখ্যা সাত হাজার জন, এদের মধ্যে জঙ্গী রয়েছেন প্রায় ছয়শত জন। তবে এদের বেশিরভাগই হচ্ছে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য। তিনি বলেন, কারাগারে আসা জঙ্গী ও সাধারণ কয়েদিদের প্রথম দিকে একইস্থানে রাখা হয়। কারণ কোর্ট ইন্সপেক্টর পাঠানো কোর্ট অর্ডারে কয়েদিদের জঙ্গী হিসেবে শনাক্ত করার কোন কাগজ থাকে না। তখন বন্দীদের নামের সঙ্গে উল্লেখ থাকে না তারা জঙ্গী কি না ? তাই প্রথমদিকে জঙ্গী আর সাধারণ কয়েদিদের আলাদা করা যায় না। সকলকেই প্রথমে কারাগারে এক সঙ্গে রাখা হয়। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে কয়েদিদের বিস্তারিত তথ্য দিলে, কে জঙ্গি তা শনাক্ত করে আলাদা রাখা হয়। কিন্তু এ বিস্তারিত তথ্য আসতে ২-৩ মাস সময় লেগে যায়। এ সময়ের মধ্যে জঙ্গীরা অন্য কয়েদি জঙ্গীদের সঙ্গে প্ররোচিত করার চেষ্টা করতেই পারে। কারাগারে আমরা একটি জঙ্গী গোষ্ঠির সঙ্গে অন্য গ্রুপের জঙ্গীকে রাখি না। যাতে পরামর্শ করে কোন পরিকল্পনা করতে না পারে। তাদের পৃথক সেলে রাখা হয়। কারা মহাপরিদর্শক বলেন, জঙ্গীদের নিরুৎসাহিত করতে আমরা কাজ শুরু করব। সরকারের এ বিষযে হয়ত পরিকল্পনা আছে, তবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। কারাগারের ভেতর থেকেই এই চেষ্টা চালাতে হবে। তবে কারাগারের কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম তবে বাইরে থেকে কাউকে এনে জঙ্গীদের জঙ্গীবাদে নিরুৎসাহিত করার সুযোগ নেই। এজন্য কারাগারের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। মেজর জাহিদের স্ত্রীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ইফতেখার উদ্দীন বলেন, মেজর জাহিদের স্ত্রীকে হাই সিকিউরিটি প্রিজন্সে নয় কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের পৃথক নারী সেলে রাখা হয়েছে। কারণ হাই সিকিউরিটি প্রিজন্সে কোন নারী বন্দী নেই।
×