আইভীর অবস্থা স্থিতিশীল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে পুরনো কথা মনে করতে সমস্যা হচ্ছে তার। শনিবার সকালে তার সিটিস্ক্যান ও এমআরআই করানো হয়েছে। এদিকে বিকেল ৩টার দিকে আইভীকে দেখতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি আইভীর শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। শনিবার বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ল্যাবএইড গ্রুপের মুখপাত্র সাইফুর রহমান জানান, সেলিনা হায়াৎ আইভীর সিটিস্ক্যান ও এমআরআই করানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে ল্যাবএইডের কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ বরেণ চক্রবর্তী জানান, মাঝে মাঝে কথাবার্তা মনে করতে পারছেন না বলে আইভী নিজেই জানিয়েছেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে বোর্ড সদস্যদের তত্ত্বাবধানে আইভীর মস্তিষ্কের ফের সিটিস্ক্যান করা হবে। সিটিস্ক্যান করে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের পরিমাণ বাড়ল না-কি কমলো তা দেখে পরবর্তী চিকিৎসা নির্ধারিত হবে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মাঝে মাঝে কথাবার্তা মনে করতে পারছেন না সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি। অধ্যাপক ডাঃ বরেণ চক্রবর্তী জানান, আইভীর চিকিৎসার্থে তার নেতৃত্ব নতুন করে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া (নিউরোলজিস্ট), অধ্যাপক ডাঃ আশরাফ আলী (নিউরোলজিস্ট), অধ্যাপক ডাঃ মাসুদ আনোয়ার (নিউরোসার্জন) ও অধ্যাপক ডাঃ আবুল জাহেদ (কার্ডিওলজিস্ট)। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনে নিজ কার্যালয়ে ডাঃ আইভী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যু নিয়ে গত মঙ্গলবার চাষাঢ়ায় হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুসারীদের সঙ্গে মেয়রের লোকজনের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষের সময় মেয়র আইভীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। সেই সঙ্গে আহত হয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও অনেকে।