ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া খবরের দৌরাত্ম্য রোধে উদ্যোগ

ব্যবহারকারীর মতামতের ভিত্তিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বাছাই করবে ফেসবুক

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

ব্যবহারকারীর মতামতের ভিত্তিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বাছাই করবে ফেসবুক

ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়ার সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এখন নিজেদের নিউজ ফিডে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকে গুরুত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ শুক্রবার জানিয়েছেন, ভুয়া ও সুড়সুড়ি দেয়া সংবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। এখন থেকে ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যম বাছাই করা হবে। খবর ওয়েবসাইট ও বিবিসি অনলাইনের। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু সংবাদ মাধ্যমগুলোর পোস্ট করা লিংকই নয়, ব্যক্তি ব্যবহারকারীরা যেসব সংবাদ প্রতিবেদন শেয়ার করবেন, তাও নজরে রাখবেন তারা। বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে আসছে; আর সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার নজির আছে ভূরিভূরি। ব্যবহারকারীদের পোস্টে সংবাদের জন্য জায়গা ৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণাও দিয়েছেন জাকারবার্গ। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক সংবাদের উৎসগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি। জাকারবার্গের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে; তথ্যনিষ্ঠ সংবাদকে গুরুত্ব দেয়ার কথায় অনেকে সাধুবাদ জানালেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যম বাছাই নিয়ে সংশয়ও এসেছে কারও কারও তরফ থেকে। তবে জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের নির্বাহীদের কেউ নয়, বরং ব্যবহারকারীরাই বন্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনকারীদের নির্বাচন করবেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আকার কিংবা তার আদর্শিক অবস্থানকে গুরুত্ব দেবে না তারা। জাকারবার্গ বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যবহারকারীরাই ঠিক করবেন, কোন সংবাদ প্রকাশক নির্ভরযোগ্য ও নিরপেক্ষ। তবে জরিপের ফল প্রকাশ না করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে ফেসবুক; এর কারণ ব্যাখ্যা করে তারা বলেছে, তাতে নির্দিষ্ট কোন ব্যবহারকারীর নিউজ ফিডে একটি সংবাদের স্থান দেয়ার ক্ষেত্রে একটি অসম্পূর্ণ চিত্র ফুটে উঠবে। এই পদক্ষেপ নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ফেসবুক কর্ণধার বলেন, অনেক বেশি উস্কানিমূলক, ভুয়া ও পক্ষপাতমূলক সংবাদের দৌরাত্ম্য চলছে বিশ্বজুড়েই। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে সংবাদ দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই এখনই যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তবে আমরা বড় সমস্যায় পড়ে যাব। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় ভুয়া খবর ছড়ানোয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ফেসবুককে। ফেসবুক কর্ণধারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্রগুলোর সংগঠন নিউজ মিডিয়া এ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ডেভিড শেভার্ন বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ যারা দেয়, তাদের গুরুত্ব দিতে আমরা বেশ কিছু দিন ধরেই ফেসবুককে বলে আসছিলাম।
×