ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

না’গঞ্জের শিমরাইলে ফুটওভার ব্রিজে দোকান॥ দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

না’গঞ্জের শিমরাইলে ফুটওভার ব্রিজে দোকান॥ দেখার  কেউ নেই

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড শিমরাইল মোড়ের দুটি ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। যা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক পার হচ্ছে। কিন্তু ফুটওভারব্রিজ দুটি হকারদের দখলে রয়েছে। পশ্চিমপার্শ্বের ফুটওভারব্রিজটির ওপর কমপক্ষে অর্ধশত দোকানপাট বসেছে। এক কথায় ফুটওভারব্রিজটি এখন পুরোপুরি হকারদের দখলে চলে গেছে। এখানে হকাররা নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ফলে ফুটওভারব্রিজ দিয়ে পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। হকারদের কারণে ফুটওভারব্রিজের ওপর প্রায় সৃষ্টি হয় মানবজট। ফুটওভারব্রিজের ওপর বসা এসব অবৈধ দোকান-পাট থেকে স্থানীয় চাঁদাবাজরা আর্থিক সুবিধা আদায় করছে। এ কারণে এ অবৈধ দোকানপাটগুলো উচ্ছেদ হচ্ছে না বলে পথচারীরা অভিযোগ করেন। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা থানা পুলিশকে বার বার মৌখিকভাবে ফুটওভারব্রিজের ওপর থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করার অনুরোধ করলেও কোন সুফল পাননি। ফুটওভারব্রিজের ওপর বসা হকার হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, পেটের দায়ে আমরা এখানে বসেছি। নিয়মিত আমাদের চাঁদা দিয়ে এখানে বসতে হচ্ছে। আরেক হকার মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৫-৬ বছর ধরে ফুটওভারব্রিজের ওপর দোকানপাট নিয়ে বসেছি। মাঝে মধ্যে আবারও আমাদের উঠিয়ে দিচ্ছে। পথচারী শহিদুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ নগরীর প্রধান প্রধান সড়কটি হকারমুক্ত করা হয়েছে। অথচ শিরাইলের ফুটওভারব্রিজটি বছরের পর বছর হকার দখল করে রাখায় নির্বিঘেœ চলাচল করা যায় না। আরেক পথচারী সালাম মিয়া জানান, মনে হয় থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরা এ সকল হকারদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করছে তাই অবৈধভাবে ফুটওভারব্রিজের ওপর দোকান-পাট বসিয়ে প্রায়ই মানবজট সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া ফুটওভারব্রিজের বসা দোকানপাট থেকে সুবিধা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ফুটওভারব্রিজ থেকে দোকানপাট সরিয়ে দেয়া হবে।
×