ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে শৈত্যপ্রবাহে বিবর্ণ বোরো বীজতলা॥ বিপাকে চাষী

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে শৈত্যপ্রবাহে বিবর্ণ বোরো বীজতলা॥ বিপাকে চাষী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৯ জানুয়ারি ॥ দীর্ঘ শৈতপ্রবাহের কারণে বোরো চারা ঝলসানো রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বোরো চাষিরা। দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে বিরাজ করছে প্রচন্ড ও মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঘন কুয়াশায় জেলার ৫ উপজেলার সর্বত্র বোরো বীজতলা ‘কোল্ড ইনজুরি’তে আক্রান্ত হয়ে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। চারা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। অনেক বীজতলার বোরো চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চাষিরা তাদের বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে বোরো বীজতলায় হরেক রকমের পলিথিন ঢেকে দিয়েও কিংবা কীটনাশক স্প্রে করেও তেমন কোন ফল পাচ্ছেন না বলে জানান। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, জেলায় এ বছর ৬০ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১২ হাজার ৯৪ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৪৮ হাজার ২১৫ হেক্টর জমি । এ জন্য কৃষকরা তাদের ৪ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু পনেরো দিন ধরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে জেলার অধিকাংশ বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য কৃষকরা বীজতলায় পানি সেচ কিংবা প্লাস্টিক দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেন কেউ কেউ। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি তার বেশিরভাগেরই হলুদ বর্ণ ধারণ করে। অনেক বীজতলার বোরো চারা পোড়া বা ঝলসানোর মতো হয়ে গেছে। মাগুরা নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, শীতে বোরো বীজতলার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে বোরো বীজতলা হলুদ হয়ে গিয়েছে। ফলে কৃষক চরম বিপাকে পড়েছে। জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে রোবো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন কিন্তু শীতে বোরো বীজতলার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কোল্ড ইনজুরির কারণে বোরো বীজতলা হলুদ হয়ে গিয়েছে। ফলে কৃষক চরম বিপাকে পড়েছে।
×