ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহানন্দা ও বিলভাতিয়া পানি শূন্য

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

মহানন্দা ও বিলভাতিয়া  পানি শূন্য

স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, খরা মৌসুম না আসতেই মহানন্দায় হাঁটু পানি। প্রমত্ত মহানন্দা নদীর ভোলাহাট অংশের স্র্রোতধারা বন্ধ হয়ে গেছে। নদী বক্ষে জেগেছে অসংখ্য চর। মাছ মারা ছোট ভোট ডিঙ্গি নৌকা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ নদীতে নেমে সীমান্ত অতিক্রম করছে হেঁটে হেঁটে। ফলে এলাকাটি পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বেড়েছে চোরাচালান। মহানন্দা নদী হিমালয়ের ড্রিম নামক স্থান হতে উৎপত্তি, ভারতের পুর্ণিয়া হতে ভোলাহাটে প্রবেশ করেছে। নদীতে ব্রিটিশ সময়ে সারাবছর মালদহ হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের লালগোলা পর্যন্ত স্টিমার চলাচল করত। ভারতের মধ্য দিয়ে আসা আরও দুটি নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ অংশে মহানন্দায় পড়েছে। সেই প্রমত্ত মহানন্দা ভারতীয় অংশে একাধিক বাঁধের কারণে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। গিলাবাড়ী থেকে কালপুর পর্যন্ত এ নদীতে একেবারে পানি থাকে না। স্রোত বন্ধ হবার কারণে এই অংশে কোন মাছ হচ্ছে না। সংলগ্ন এলাকার দুই পারের সহস্র্রাধিক জেলে একেবারে বেকার হয়ে পড়েছে। নদীতে গোসল করার মতো পানি না থাকায় দুই পারের মানুষকে নির্ভর করতে হয় নলকূপের ওপর। নদীতে পানি শূন্য হয়ে পড়ায় নলকূপের পানি আসে না। আসলেও তা সুপেয় হয় না। আর্সেনিক ভর্তি থাকে। উজানে একাধিক বাঁধ নির্মাণের কারণে নদী পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। এর পরেও যেটুকুতে পানি রয়েছে তার ওপর লোফিন্ডপার পাম্প দিয়ে কৃষক পানি উঠিয়ে কৃষি কাজে ব্যবহার করছে। এ বছর আর তাও পাবে না। ফলে নদীসংলগ্ন ভোলাহাট অঞ্চলের ১০ হাজারের অধিক জমি পতিত পড়ে থাকবে। পানির অভাবে বোরো আবাদ হবে না। অপরদিকে মহান্দার বিরূপ প্রভাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল ভাতিয়া পানি শূন্য হয়ে পড়বে। এমনিতেই গত এক বছর ধরে পানি থাকছে না এই বিলে। যার কারণে বিল ভাতিয়ার ২০ হাজার একর জমি পতিত রাখতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা।
×