ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রদর্শনী

উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে গৌরনদী

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে গৌরনদী

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাজোট সরকারের টানা নয় বছরে পল্লী সড়ক উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্রিজ, কালভার্ট, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাইক্লোন সেল্টার, বিদ্যালয় ভবন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ, হাট-বাজার উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বরিশালের গৌরনদী পৌর সদরসহ পুরো উপজেলা। ইতোমধ্যে এ উপজেলায় শুধুমাত্র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ২১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার কাজ সম্পন্ন করেছে। ফলে কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, দারিদ্রমুক্তি ও গ্রামীণ অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সচ্ছলতা এসেছে হতদরিদ্রদের মাঝে। উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় সুফল পাচ্ছে গৌরনদী পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ। গত ১৩ জানুয়ারি সমাপ্ত হওয়া তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলায় গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের স্টলে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গৌরনদীর উন্নয়নের ওপর প্রকাশিত অসংখ্য সংবাদের সচিত্র প্রতিবেদনের চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিশাল আকৃতির ডিজিটাল প্যানা সাইনের ওপর জনকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের চিত্র প্রদর্শনের পর বিষয়টি নিয়ে পুরো মেলা জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে তিন দিনের মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সচিত্র প্রতিবেদনের চিত্র প্রদর্শন ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। জেলার দুইবারের শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু জানান, ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর পরই গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই দীর্ঘদিনের ভাগ্যবঞ্চিত এতদাঞ্চলে উন্নয়নের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল উন্নয়নমূলক কর্মকা- থমকে যায়। উল্টো আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ চীফ হুইপ থাকাকালীন সময়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত বিদ্যুত বিপণন কেন্দ্রটিও সিলেটে সরিয়ে নেয়া হয়। দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত হয় গৌরনদী পৌরসভা ও উপজেলাবাসী। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্ণরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) গৌরনদী উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের (২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত) নয় বছরে গৌরনদী উপজেলায় ২১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে পল্লী সড়ক উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্রিজ ও কালভার্ট, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাইক্লোন সেল্টার, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়নের ফলে কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, দারিদ্রমুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পল্লী সড়ক উন্নয়ন ॥ পল্লী সড়ক শুধুমাত্র সড়কই নয়। কর্মসংস্থান, জীবিকা ও উন্নততর জীবনেরও অবলম্বন। পল্লী সড়কের হাত ধরেই আসে কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রবেশগম্যতা, দারিদ্রমুক্তি ও মানব উন্নয়ন। তাই পল্লী সড়ক উন্নয়ন শেখ হাসিনা সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিষয়। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সময়কালে গৌরনদীতে মোট ১৩৯.৫ কিলোমিটার পল্লী সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ কাজে মোট একশত সাড়ে ষোল কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বর্তমানে আরও ১১ কিলোমিটার সড়কের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। চলমান প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আরও ৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হবে। পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ॥ সড়ক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে নিয়মিতভাবে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই জরুরী। টেকসই সড়ক গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখে এবং সুষ্ঠু পরিচালন ব্যবস্থার একটি গতিশীল সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। তাই ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গৌরনদীতে ৫৮ কিলোমিটার পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানেও ৪.৫০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে মোট ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ ॥ সড়ক যেখানে শেষ সেতু সেখানে খুলে দেয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার। গ্রামীণ জনজীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে বর্তমান সরকারের সময়ে (২০০৯-২০১৭) গৌরনদীতে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চার কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও দুটি চেইনেজগার্ড ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ৩০০ মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন ॥ খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ এলজিইডির ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন। খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি এ কার্যক্রমের ফলে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, দারিদ্র হ্রাস ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ৬৮০ হেক্টর জমির পানি সম্পদ উন্নয়ন করা হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দশটি উপ-প্রকল্পের দশ কিলোমিটার খাল খনন ও ১৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। চলমান প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আরও তিনটি উপ-প্রকল্প উন্নয়ন করা হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এবং হাট-বাজার উন্নয়ন ॥ পল্লী উন্নয়ন একটি সামগ্রিক বিষয়। এতে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোরও বিকাশ করা জরুরী। পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীল সঞ্চালনে হাট-বাজার, ঘাট নির্মাণেরও প্রয়োজন। ‘শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের (২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত) সময়ে আট কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে গৌরনদী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, চারটি হাট-বাজার এবং ঘাট নির্মাণ ও একটির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। চলমান প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আরও দুইটি হাট-বাজার ও ঘাট নির্মাণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে জেলা, উপজেলাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় গৌরনদী উপজেলায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সাত হাজার পাঁচ শ’ বর্গফুটের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন (বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায়)। নির্মিত ওই কমপ্লেক্সে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য যাদুঘর কাম লাইব্রেরি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট। পাশাপাশি গৌরনদী উপজেলার ১৩জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসগৃহ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাসগৃহে ব্যয় ধরা হয়েছে আট লাখ টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ ॥ প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত এবং আনন্দময় শিক্ষা শৈশবের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ এবং বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে নতুন বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী অনেক বিদ্যালয় কক্ষ সম্প্রসারণ করা হয়। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের (২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত) সময়ে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গৌরনদীতে নয়টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ সম্প্রসারণ, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ও তিনটি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আরও ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁচটি সাইক্লোন সেল্টারের নির্মাণকাজ চলছে। চলমান প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আরও ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প ॥ বিগত নয় বছরে গৌরনদী উপজেলায় উন্নয়নের জোয়ারে বদলে গেছে মানুষের জীবন যাত্রার মান। দারিদ্রমুক্তির পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো (সিআরআরআইপি) প্রকল্পে নারীর ক্ষমতায়নে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে এলজিইডির ১২টি প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে। গৌরনদীর গরঙ্গল গ্রামের কৃষক ইদ্রিস খান জানান, রাস্তা ঘাট পাঁকা হওয়ায় এখন জমিতে উৎপাদিত ফসল সহজে বাজারে আনা সম্ভব হচ্ছে। হাপানিয়া গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক জামাল উদ্দিন জানান, গ্রামীণ জনপদের সড়ক নির্মাণ করায় আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। স্বাচ্ছন্দে যেখানে খুশি মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে এখন আর কোন সমস্যা হচ্ছে না। গেরাকুল গ্রামের বাসিন্দা গোলাম হেলাল মিয়া জানান, গত নয় বছরে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সড়ক, সেতু, সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করে গ্রামীণ জনমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দিয়েছে। মানুষ এখন আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছে। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার নয় বছরই বলে দিচ্ছে আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে শেখ হাসিনার সরকার টানা তিনবারের হ্যাটট্রিক বিজয়ী করবে। গৌরনদী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নয় বছরে গৌরনদীতে ২১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আরও অনেক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে গৌরনদী পৌরসভাসহ গোটা উপজেলাবাসী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার দেশের সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ সব সময় এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গৌরনদী আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। সদ্য বিদায়ী গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার বলেন, বর্তমান সরকারের গত নয় বছরের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তুলে ধরার জন্য শতাধিক স্টল নিয়ে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলাই বলে দেয় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র। গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর দেশের উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফুফাত ভাই স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর প্রচেষ্টার ফসল গৌরনদী আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।
×