ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে হচ্ছে নতুন ৮ থানা

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

রাজশাহীতে হচ্ছে নতুন ৮ থানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহী নগরীর নতুন ৮টি থানার প্রস্তাব গত এক বছর ধরে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে এখন নিকারের বৈঠকের অপেক্ষায়। গত আড়াই যুগ পেরিয়ে গেলেও শহরে নতুন কোন থানা হয়নি। এর ফলে পুলিশী সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে থানার দুর্গম ও দূরের নগরবাসী। তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের আশা, শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে প্রস্তাবিত নতুন থানাগুলো। ১৯৯২ সালে মাত্র চারটি থানা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের। তখন নগরীর লোকসংখ্যা ছিল ৩ লাখ। বর্তমানে নগরীর লোকসংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ লাখ। কিন্তু দীর্ঘ পঁচিশ বছরে বাড়েনি একটিও থানা। এ সময় থানা এলাকায় বেড়েছে আবাসন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সংখ্যা। থানার অধীনে এসেছে দুর্গম পদ্মার চরও। এ অবস্থায় চরাঞ্চল ও থানার দূরবর্তী গ্রামগুলো পাচ্ছে না পুলিশের সেবা। এতে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর। স্থানীয় একজনের মতে, ‘কাশিয়াডাঙা থেকে এখানে এসেছি। এজন্য আমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। থানাটা যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে আমরা জনগণ খুবই উপকৃত হতাম।’ এ অবস্থায় জন নিরাপত্তা ও নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আরও আটটি থানা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন রকম পুলিশী কার্যক্রমে চারটি থানা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ জঙ্গী কার্যক্রমে আমাদের যে এ্যাকশন বা তল্লাশি। এখন আটটি থানা নতুন সৃষ্টির জন্য সরকারের উচ্চ মহলের বিবেচনাধীন আছে।’ পুলিশের প্রস্তাবনা অনুযায়ী রাজপাড়া থানার অংশবিশেষ নিয়ে কাশিয়াডাঙা, পবা ও শাহ মখদুম থানার অংশ বিশেষ নিয়ে দামপুরা, কর্ণহার ও এয়ারপোর্ট থানা, মতিহার থানার অংশ নিয়ে কাটাখালি ও বেলপুকুর থানাসহ বোয়ালিয়ার অংশে চন্দ্রিমা থানা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
×