ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণপরিবহনকে ঢেলে সাজাতে তৈরি হচ্ছে নতুন খসড়া

ভাড়া বিভ্রাটে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে রাজধানীবাসী

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

ভাড়া বিভ্রাটে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে রাজধানীবাসী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন অনুযায়ী রাজধানীতে গণপরিবহনে প্রতি কিলোমিটার হারে ভাড়া আদায়ের কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না। ভাড়া বিভ্রাটে প্রতিদিনই বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে রাজধানীবাসী। পরিবহন মালিকরা অনিয়মের জন্য দুষছেন বিআরটিএকেই। গণপরিবহনকে ঢেলে সাজাতে তৈরি হচ্ছে নতুন খসড়া জানালেন বিআরটিএর এক কর্মকর্তা। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বয় না থাকলে শুধুমাত্র আইন দিয়ে বন্ধ হবে না নৈরাজ্য। গাড়িতে নেই নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট, এই না থাকা নিয়েও নেই যথেষ্ট তথ্য জ্ঞান। এভাবেই রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতে চলছে নৈরাজ্য আর ভাড়া বিভ্রাট। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় জিম্মি করেই আদায় করা হচ্ছে লাগামহীন ভাড়া। এক যাত্রী বলেন, কিলোমিটার প্রতি যে ভাড়া সেটা নিচ্ছে না। সে হিসেবে ভাড়া অনেক কম হয়। সিটিং সার্ভিস বন্ধে হঠাৎ করে অভিযান শুরু করে বিআরটিএ। এর পরপরই পাল্টাপাল্টি আন্দোলন ও কর্মসূচীর মুখে অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে যায় লাগামহীন ভাড়া আদায় ও জন দুর্ভোগের বিষয়টি। বহুদিন নীরব থাকার পর মালিক-শ্রমিক সমিতি, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি। পরিবহন মালিকরা বলছেন, বিআরটিএ’র অবহেলাতেই এড়ানো যাচ্ছে না নৈরাজ্য। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে যে চার্ট তৈরি করা হয়েছে সেখানেও কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁক আছে এবং সেই চার্টটা অনেক যাত্রীও বুঝে না। অনেক ড্রাইভার হেলপারও বুঝে না।’ পরিবহন বিশেষজ্ঞরাও দুষলেন সরকার ও বিআরটিএকেই। পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলেন, ‘তারা টেস্ট করে দেখল বিআরটিএ কিছু বলে কিনা। গত দশ পনেরো বছরে কিছুই বলে নাই। এটা যখন একেবারে মহামারি আকারে সব বাস পরিবর্তন করে একেক নামে আসা শুরু হলো তখন প্রতিক্রিয়া দেখানো আরম্ভ করল।’ বিআরটিএ নিজের অপারগতা স্বীকার করেই জানালেন, নতুন কমিটির মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হবে গৃহীত পদক্ষেপ। এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পরিনি এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। শ্রমিক সংগঠনগুলোকে আমরা চিঠি দিয়েছি, যে ভাড়া নির্ধারণ করেছি সেটার কপি দিয়েছি। এটিকে দৃশ্যমান স্থানে টানানোর জন্যও বলা হয়েছে। তিনি জানান, ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ, ই-টিকেটিংসহ সুপারিশ কমিটির প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও বাস্তবায়নের।
×