ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শুষ্ক মৌসুমেই বন্দর নগরীর সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

শুষ্ক মৌসুমেই বন্দর নগরীর সড়কের বেহাল দশা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ষা নয়, এবার শুষ্ক মৌসুমেও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বেশির ভাগ প্রধান সড়কের বেহাল দশা। ভাঙ্গাচোরা সড়ক ও খানাখন্দের কারণে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। এছাড়া গাড়ি চালকদেরও ভোগান্তির শেষ নেই। সিটি মেয়র বলছেন, অর্থ সঙ্কটের কারণে সবগুলো রাস্তার কাজ এক সঙ্গে করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বর্ষায় বৃষ্টির মাত্রা ছিল অনেক বেশি। টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বেশির ভাগ সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত বর্ষার অজুহাত দেখিয়ে তখন সংস্কার করা হয়নি নগরীর কোন সড়ক। বর্ষা শেষ হওয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার হয়নি নগরীর ভাঙ্গাচোরা সড়কগুলো। আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বিশ্ব রোড, বড়পোল, হালিশহরসহ নগরীর বেশির ভাগ সড়ক খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে ভরা। জনসাধারণরা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন গাড়ি নষ্ট হয়। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখানে আমাদের দেখার কেউ নেই। বার বার বলছে কাজ শুরু হবে কিন্তু বাস্তবে তা আর হয় না। সিটি কর্পোরেশনের গাফিলতি ও আন্তরিকতার অভাবে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যদি এখন কাজ শুরু না করেন। তবে বর্ষায় কাজ শুরু করা যাবে না। যে কাজগুলো এখন হচ্ছে সেগুলো খুব বেশি টেকসই হবে না। কর্তৃপক্ষ একটু আন্তরিক হলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।’ তবে মেয়রের দাবি, সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ সঙ্কটের কারণে সবগুলো সড়ক এক সঙ্গে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণ করতে হলে তা তৈরি, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।’ উল্লেখ্য, নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১১শ ২৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে পিচ ঢালা ৬২০ কিলোমিটার, কংক্রিটের ২৪৯ কিলোমিটার ও পাকা রাস্তা রয়েছে ৪৮ কিলোমিটার।
×