ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়বে আট ধরনের ক্যান্সার

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়বে আট ধরনের ক্যান্সার

এবার ক্যান্সার শনাক্তে যুগান্তকারী উপায় বের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই কেবল রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আট ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করা যাবে। এতে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের রোগীর কোষ কেটে গবেষণাগারে নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা শরীরের কোথাও ক্যান্সার হানা দিয়েছে কিনা, তা শনাক্ত করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা লিকুইড বায়োপসি নামে রক্ত পরীক্ষার এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা দিয়ে শরীর কাটাছেঁড়া না করেই ক্যান্সারে আদি-অন্ত বের করা সম্ভব হবে। প্রাণঘাতী এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন উদ্ভাবন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর সর্বত্র পদ্ধতিটি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন ক্যান্সারের প্রাথমিক স্তরে দশ হাজারেরও বেশি রোগীর ৭০ শতাংশ টিউমার পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। নতুন পরীক্ষায় ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে রোগীকে বিরাট সুযোগ তৈরি করে দেবে। এর মাধ্যমে প্রাণঘাতী রোগটি পরাজিত করতে সবচেয়ে ভাল সুযোগটি পাবেন রোগী। মৃত কোষ থেকে রক্তের সঙ্গে মিশে যাওয়া ডিএনএ’র বিভাজন অনুসন্ধানের মাধ্যমে নতুন এই পরীক্ষা কাজ করবে। এছাড়া অন্ত্র, স্তন, যকৃৎ, ফুসফুস, খাদ্যনালী, ডিম্বকোষ, পাকস্থলি ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার শনাক্ত করা যাবে এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে। মেলবোর্নের ওয়াল্টার এ্যান্ড এলিজা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক পেটার গিবস বলেন, এটা হাজার হাজার প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সাশ্রয়ী দামে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি। তিনি এই পরীক্ষার নাম দিয়েছেন ক্যান্সারসিক। গিব বলেন, সাধারণত শরীরে লক্ষণ দেখা না গেলে ক্যান্সার ধরা পড়ে না। কিন্তু প্রথমবারের মতো আমরা দেখলাম কেবল রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের শরীরের মরণঘাতি ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। অস্বস্তিকর উপায়ে ও যন্ত্রপাতি শরীরে ঢুকিয়ে রোগ শনাক্তের চেয়ে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার পরীক্ষায় মানুষ অনাগ্রহী হবে না। তার মতে, মানুষের বয়স পঞ্চাশের গোড়ায় পৌঁছলেই ক্যান্সারের আশঙ্কা দেখা দেয়। কাজেই বয়স্কদের জন্য এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যাদের পরিবারের ইতিহাসে ক্যান্সার বিস্তারের আশঙ্কা আছে তারাও এই পরীক্ষার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
×