ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাফিজ সাঈদকে বিচারের আওতায় আনতে হবে ॥ যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

হাফিজ সাঈদকে বিচারের আওতায় আনতে হবে ॥ যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত এবং দেশটি ইসলামাবাদের কাছে বিষয়টা খুবই স্পষ্ট করে বলেছে। ইসলামাবাদ সম্প্রতি বলেছে, ২৬/১১-এর মুম্বাই সন্ত্রাসের হোতা হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র শুক্রবার সাঈদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি সচেতন রয়েছেন যে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছেন, সাঈদকে বিচারের সম্মুখীন করা সম্ভব নয়। কারণ, তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। মুখপাত্র হিদার নউয়ের্ট বলেন, আমরা আমাদের মতামত ও উদ্বেগ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পাকিস্তানী সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি যে, এ ব্যক্তিকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। আমরা মনে করি যে, আইনের সবটুকু পথ অনুসরণ করে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি দুদিন আগেও সাঈদকে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করে বলেছেন, পাকিস্তানে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তাই তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মাসের প্রথমদিকে সাঈদ ও তার দল জামাত-উদ-দাওয়াকে কালো তালিকাবদ্ধ করেন। নউয়ের্ট বলেন, পাকিস্তান সাঈদের ব্যাপারে বিভ্রান্ত হতে পারে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নয়। ওয়াশিংটনের অভিমত কি তা স্পষ্ট করতেই তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাঈদকে একজন সন্ত্রাসী এবং এক বিদেশী সন্ত্রাসী গ্রুপের অংশ বলে মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র সাঈদের ওপর তথ্য প্রদানের জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। নউয়েট সাঈদ সম্পর্কে বলেন, সে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার হোতা। ওই হামলায় আমেরিকানসহ অনেকে নিহত হন। তিনি বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, জাতিসংঘও তাকে সন্ত্রাসী বলে বিবেচনা করে। সন্ত্রাসী গ্রুপ লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গেও সম্পৃক্ততা রয়েছে সাঈদের। সাঈদ গত নবেম্বরে লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশে গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা, পাকিস্তান সঠিক কাজটি করবে এবং তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে।
×