ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রুবেল রেহান

বিকল্প গহনাতে সাবলীল

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

বিকল্প গহনাতে সাবলীল

নারীর চিরন্তন সৌন্দর্য অনুষঙ্গ গহনা। গহনায় নারী সেজে ওঠে মোহিনী রূপে। এটা ছাড়া সাজ সম্পূর্ণ হয় না। তাই বলে সব সময় তো আর সোনা-রুপার মতো দামী গহনা পরা যায় না। বরং তরুণীরা বিকল্প গহনাতেই সাবলীল। তাঁতের শাড়ির সঙ্গে বাহারি মাটির গহনা হোক তা জরোয়া কিংবা এক লহরের মালা তাতে ফুটে ওঠে বাঙালীর সাজ। বর্তমানে মাটির গহনায় যোগ হয়েছে নানা ডিজাইন। নতুনত্ব এনেছে মাটির সঙ্গে নানা উপকরণের মিশেল আর রঙের মেলায় গহনায় এসেছে হাজারো রং। জরোয়া, এক লহর মালা, দুই লহর মালা, চিক নানা ডিজাইনের কানের দুল, বিছা, বালা সবই আছে মাটির গহনায়। পাশাপাশি এসব গহনায় হরেক রঙের আলপনা করা হয়েছে আর মাটির ওপর বসানো হয়েছে ঝুনঝুনি, চুমকি, পুঁতি প্রভৃতি। শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজ উভয়ের সঙ্গেই পরতে পারেন এসব গহনা। হাল ফ্যাশনে পছন্দে যুক্ত হয়েছে মেটাল ও নানারকম বিডসের গহনাও। এ গহনাগুলো শাড়ি, টপস কিংবা সালোয়ার-কামিজসহ সব পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা পরতে হবে। টপসের সঙ্গে মিলিয়ে মেটালের মালার সঙ্গে বড় লকেট পরতে পারেন। আবার, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পরতে পারেন কাঠ, বাঁশ, বেত ও নানারকম বিডসের গহনা। সুতার টারসেলের সঙ্গে কড়ি ও বিডস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভিন্নধর্মী গহনা, যা শাড়ির সঙ্গে ভাল লাগবে। রয়েছে হালকা ও ভারি মেটালের গহনা। এতে ফুটে উঠেছে এন্টিক ও ট্রাইবাল লুক। শাড়ির সঙ্গে চমৎকার লাগবে এগুলো। শাড়ির সঙ্গে কানে মাকড়ি, গলায় কাঠের মাদুলিও পরতে পারেন। সঙ্গে ম্যাচ করা কাঠের বালা। ভাল লাগবে রেশমি চুড়িও। তাছাড়া শাড়ির সঙ্গে বিছা, চাবির রিং কিংবা পায়ে মল পরলে একটা বাঙালীয়ানা ভাব ফুটে উঠবে এবং এসব গহনার দামও তুলনামূলক কম। সে কারণে এসব গহনা ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের কাছে জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে বেশ। এসবের পাশাপাশি বৈশাখের গহনায় অনায়াসে বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন ফলের বিচি, প্লাস্টিক, কাচ, পুঁতি, চট, সুতা, কাপড়, শুকনা ফুল, শোলা, তালপাতা ও পাটের তৈরি গহনাও। একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের এবং অতিরিক্ত গহনা আপনার সৌন্দর্য কমিয়ে দিতে পারে। তাই গহনা পরার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত তা যেন পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আবার হাত-পা, কান-গলায় একসঙ্গে গহনা পরলে অনেক সময় সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। গহনার মাধ্যমে যে কোন একটি অংশকে ফুটিয়ে তোলা উচিত। তবেই আপনার সোন্দর্য অন্যের চোখে ধরা দেবে। দরদাম : ডিজাইন ভেদে এসব গহনার দরদামের পার্থক্য হয়ে থাকে। মাটির কানের দুল ৩০-১৫০ টাকা, মাটির এক লহরের মালা ৪০-১০০ টাকা, দুই লহরের মালা ৬০-২০০ টাকা, মাটির চিক ১০০-৩০০ টাকা, গলার ও কানের মাটির সেট ৭০-৩০০ টাকা, মাটির ব্রেসলেট ৩০-১০০ টাকা, পিতলের খাড় পাবেন ৩০০-১৫০০ টাকায়, কাঠ ও সুতার কানের দুল ৩০-৬০০ টাকা, মাটির বালা জোড়া ৫০-৩০০ টাকা, কাঠের বালা ১০০-৫০০ টাকা, কাঠের কানের ও গলার সেট ১০০-১০০০ টাকা, পায়েল ৫০-২৫০ টাকা, হাতের আংটি ২০-৪০০ টাকা, হাসুলি নক্সার গহনা মিলবে ৫০০ টাকার মধ্যে, একটু ভারি নকশার মেটাল গহনা পাওয়া যাবে ৫০০-২০০০ টাকায় আর হালকা সেট পাবেন ২০০-৫০০ টাকায়, কড়ির তৈরি গহনা ১৫০-৫০০ টাকা, বিভিন্ন ফলের বিচির গহনা ১০০-২০০ টাকা। এছাড়াও ফ্যাশন হাউস বিবি প্রোডাকশনে চিকন সুতার বালা ৫০ টাকা, মায়াসিতে কাঠের গয়না ২৫০-৮০০ টাকা, বালা ৮০০-১০০০ টাকা, পিরানে পুঁতির চিক ৩০০-৭০০ টাকা, মাদুলীতে কাঠের বালা ১০০-৪০০ টাকা, মাটির বালা ১০০-৩০০ টাকা, আড়ংয়ে মাটির গহনা ১৩০-৪৫০ টাকা আর অন্যান্য উপকরণে গহনা ২০০-২৫০০ টাকা, রঙে দেশীয় উপকরণের গহনা ৩০০-২০০০ টাকা, বাংলার মেলায় মাটির গহনা ১২০-১৫০ টাকা। কোথায় পাবেন : ভিন্নধর্মী গহনার দোকান হিসেবে পরিচিত মাদুলি, পিরান, আজিজ সুপার মার্কেটের ভার্টিক্যাল ও আইডিয়াল ব্যতিক্রম ডিজাইনের গহনা পাবেন। ছবি : তানভির হোসেন
×