ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

উবাচ

সুদর্শন-সুন্দরীর মারামারি স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারায়ণগঞ্জে সরকারী দলের আর কোন বিরোধী দলের দরকার হয় না। নগরের মাতা চান রাস্তা থেকে হকার সরিয়ে দিতে আর সংসদ সদস্য চান হকারদের রাস্তায় রাখতে। গত সপ্তাহে আলোচিত ঘটনা নারায়ণগঞ্জের সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দ্বন্দ্ব। রীতিমতো উন্মুক্ত রাস্তায় অস্ত্রের মহড়া দেখেছে সকলে আর এই ঘটনায় রসিকতা করতেও ছাড়লেন না স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে বলেন, আপনারা দুইজন পাশাপাশি বসা- একজন সুদর্শন পুরুষ আরেকজন সুন্দরী মহিলা, আপনারা যদি মারামারি করেন আমি কী করতে পারি, কন? সংবাদ মাধ্যম মন্ত্রীর উক্তির শিরোনাম করেছে সুদর্শন-সুন্দরীর মারামারি। মন্ত্রী বলেন, মেয়র আইভী ও সাংসদ শামীম ওসমানের ‘ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের’ বিষয়টি যে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেবে তা কারও ধারণায় ছিল না। আমার যতদূর মনে হয়, তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে এই ঘটনাটা ঘটেছে। এই দুইজনের দ্বন্দ্ব অনেক দিনের, মনে করিয়ে দেয়ার পর মোশাররফ বলেন, কালকে যে ইটপাটকেলের মধ্যে সংঘর্ষ চলে যাবে এটা তো বুঝি নাই। বুঝলে আমরা ইন্টারভেন করতাম, আমরা বুঝিইনি জিনিসটা। তিনি বলেন, দুজনই আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আমাদের দলেরই। বন্ধু-বান্ধবীর মধ্যে মারামারি হবে, এটা একটু বেশি মাত্রায় হয়ে গেছে। যৌথ প্রযোজনা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিগত জাতীয় নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এখন যে কোন নির্বাচন পেলেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আদালতে আটকে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছে দলটি। যদিও সরকারী দল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে রিটকারীদের মধ্যে বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন নেতাও রয়েছেন। আদালত যেহেতু এই রিট আবেদনের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন স্থগিত করেছে তাই এক্ষেত্রে বিএনপিকেও সহপ্রযোজক বলা যায়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসরুহুল করিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন বানচাল করা পূর্বপরিকল্পিত নীলনক্সা। এটি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যৌথ প্রযোজনা। নির্বাচন কনের ত্রুটিপূর্ণ তফলের কারণেই সংক্ষুব্ধরা রিট করার সুযোগ পেয়েছেন। আমরা বারবার বলে আসনির্বাচন নিয়ে বর্তমান সিইআওয়ামী লীগের মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। কেননা ডিএনঢাকা সিতে যদ সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি হবে এটা সরকারী দল জানে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এ বছর হওয়ার কথা। তাই ঢাকা সিতে বিপুল ভোটে পরাহলে আওয়ামী লীগের জাত-কুল কিছুই থাকবে না। কিন্তু নির্বাচনের আগেই জয়ী হওয়ার চিন্তা করা কতটা যৌক্তিক! তমিজির মেজাজ স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন এলেই একশ্রেণীর মানুষের তোড়জোড় চোখে পড়ে। ঢাকা উত্তরে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করলে এমন একজনকে চিনেছে ঢাকাবাসী। তিনি আদম তমিজি। সংবাদ মাধ্যম এই তমিজিকে একটুও পাত্তা না দেয়ায় তিনি হেব্বি চটেছেন। তার মতো এমন প্রার্থী ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে কিন্তু দেশের সংবাদ মাধ্যমে খবরের ছিটেফোঁটা নেই। মাথা কি আর ঠিক থাকে। শহরে বেকারি পণ্যের ফেরিওলাদের সর্দার তমিজি নিজেকে চেনাতে দেয়ালে দেয়ালে তো আর কম চিকা মারেননি। তারপরও কেউ যেন চিনেও চেনে না। দেখেও দেখে না। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে ছবি তোলার জন্য তমিজির দিকে ক্যামেরা ধরেন আলোকচিত্রীরা। আর এতেই মেজাজ হারান তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলে বসেন, আগে আপনারা কোথায় ছিলেন? আজ আমি যখন নমিনেশন ফরম নিতে এসেছি তখন আপনাদের আমার দিকে নজর পড়েছে? এতদিন তো আপনারা সবাই আতিকুল ইসলামের পেছনে ছুটেছেন। আজ যখন বুঝেছেন আমি মেয়র হতে যাচ্ছি, তখন আপনারা আমার পিছু নিয়েছেন। টাকা দিলেই অনেক সাংবাদিক পাওয়া যায়, সাংবাদিকের অভাব হয় না। শেষ পর্যন্ত তমিজির বেত্তমেজি দেখে আটকে যাওয়া নির্বাচনেও তিনি আর মনোনয়ন পাননি আর সাংবাদিকরা ঘৃণায় ছবি না তুলে বেত্তমেজির জবাব দিয়েছে।
×