ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা ৩০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা ৩০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে বাড়ছে তরলীকৃত জ্বালানি গ্যাস বা এলপিজি গ্যাসের চাহিদা। বিশ্ব তরলীকৃত জ্বালানি গ্যাস সমিতি বা ডব্লিউএলপিজিএ মনে করছে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এই গ্যাসের চাহিদা বছরে ৩০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। গত বুধবার ৫ম এশিয়া এলপিজি সামিট-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ডব্লিউএলপিজিএর পরিচালক ডেভিড টেইলর এই তথ্য দেন। তবে এই বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এবং সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশের আরও কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার বলে মনে করেন ডেভিড টেইলর। তেলের উপজাতের মধ্যে বিউটেন ও প্রপেনের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় এলপিজি। এরপর এটি ট্যাংকারে সংরক্ষণ করে সিলিন্ডারে দিয়ে বাজারজাত করা হয়। আমদানির ক্ষেত্রে সরাসরি জাহাজে করে এই গ্যাস আনা হয়। এরপর ট্যাংকারে সংরক্ষণ করে বোতলজাত করে বিক্রি করা হয়। সরকারীভাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) কোম্পানিগুলো এলপিজি সরবরাহ করে। বেসরকারীভাবে বসুন্ধরা এলপিজি, এনার্জিপ্যাক, বেক্সিমকো, পেট্রগ্যাজ, যমুনা, টোটাল গ্যাস, ওরিয়ন, ওমেরা এবং বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানিসহ (বিওসি) ৪৪ কোম্পানি বাজারে এলপিজি সরবরাহ করে। এছাড়া আরও প্রায় একশ’ কোম্পানিকে এলপিজি সরবরাহের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। বিপিসির তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টন গ্যাস প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
×