ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ মাসেই দরপত্র

ফুলের বাজার ও সংরক্ষণাগার হচ্ছে গদখালিতে

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

ফুলের বাজার ও সংরক্ষণাগার হচ্ছে গদখালিতে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ দেশে ফুল চাষের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত অঞ্চল যশোর। গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরাসহ ১১ প্রজাতির ফুল সারা বছর আবাদ হয় এখানে। কিন্তু বিশেষ দিবস ঘিরে ভালো ব্যবসা করলেও বছরের অন্যান্য সময় ফুল সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব ও ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষীদের। এ অবস্থায় ফুলচাষীদের দীর্ঘদিনের দাবির কারণে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ফুলের বিশেষায়িত বাজার ও সংরক্ষণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। জানা গেছে, কৃষি উন্নয়ন অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় ফুলের বাজারটি নির্মাণ করা হবে। সেখানে আধুনিক মোড়কীকরণের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হবে ফুলের বাজারজাত প্রক্রিয়ায়। শ্রমের ন্যায্যমূল্যও পাবেন চাষীরা। নির্ধারিত বাজারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দরকষাকষির সুযোগও পাবেন তারা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে ফুলের রফতানি বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে চাষীদের। দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে জরিপ সম্পন্ন হওয়ার পর এ ফুলের বাজার নির্মাণে ৩ জানুয়ারি ৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। কিন্তু ঠিকাদাররা দরপত্রে অধিক মূল্য প্রস্তাব করায় তা বাতিল করেছে সংস্থাটি। চলতি মাসে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার কথা রয়েছে। প্রকল্পটির পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রথমে আমরা একটি বাজারের জন্য একতলা ভবন ও ফুলের বিশেষায়িত সংরক্ষণাগার করব। ফুলের আধুনিক মোড়কীকরণের ব্যবস্থাও থাকবে। কেননা শুধু আধুনিক মোড়কীকরণ ও সংরক্ষণের অভাবেই নষ্ট হয় অনেক ফুল। আমরা প্রতিবন্ধকতা দূর করব, যাতে ফুলের ন্যায্যমূল্য পান কৃষক। এছাড়া দাতা সংস্থার অন্য আরেকটি প্রকল্প এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনের (এভিসি) মাধ্যমে ফুলচাষীদের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হবে। দরপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দরপত্র আহ্বান করেছিলাম, কিন্তু ঠিকাদাররা অনেক বেশি মূল্য প্রস্তাব করায় তা বাতিল করা হয়েছে। চলতি মাসেই পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। জানা গেছে, গদখালীর বিশেষায়িত ফুলের বাজার ছাড়াও যশোরের গ্রামাঞ্চলে আরও ১২টি আধুনিক বাজার ও ১২টি কালেকশন সেন্টার নির্মাণ হবে এলজিইডির কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়।
×