ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল ॥ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ১-১ মোহামেডান

এমিলির গোলে বাঁচল সাদা-কালোরা

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

এমিলির গোলে বাঁচল সাদা-কালোরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যাপারটা কাকতালীয়ই বলতে হবে। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের সর্বশেষ আসরে (২০১৬) দুটি দল ছিল ‘এ’ গ্রুপে। এবারের আসরেও দল দুটো একই গ্রুপে এবং সেই ‘এ’ গ্রুপেই। বলা হচ্ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড এবং শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের কথা। স্বাধীনতা কাপের ২০১৬ আসরে মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারালেও এবারের আসরে সেই ফলের পুনরাবৃত্তি করতে দেয়নি মোহামেডান। তাই বলে তারা জেতেওনি। বরং ১-১ গোলে ড্র করে রুখে দিয়েছে স্বাধীনতা কাপের ২০১২ আসরের রানার্র্সআপ ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত শেখ জামাল ধানম-িকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের এই প্রথম খেলার প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল শেখ জামাল। পুরো ম্যাচে জামালের ৫টি কর্নারের বিপরীতে একটিও কর্নার পায়নি মোহামেডান। আক্রমণ সংখ্যায় ১৪৩-১৩৬ ব্যবধানেও এগিয়ে ছিল জামাল। তবে বিপজ্জনক আক্রমণে এগিয়ে ছিল মোহামেডানই (১১৪-১০৩)। অন টার্গেটে শট নেয়ার বেলায় উভয়দলই ছিল সমানে-সমান (৬-৬)। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে দুই দল। ১৩ মিনিটে প্রথমে গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে শেখ জামাল। এ সময় ডি-বক্সের সামান্য বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে যান আলী হোসেন। কিন্তু তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। আলী হোসেনের নেয়া ডান পায়ের শট বারের ওপর দিয়ে বাইরে যায়। এরপরেই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। ম্যাচের বয়স তখন ১৫ মিনিট। ফরোয়ার্ড বিপুল আহমেদের বাড়িয়ে দেয়া বলে ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে তীব্র শট নেন অপর ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরী। কিন্তু বল অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩০ মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে শট নেন ফরোয়ার্ড জাবেদ খান। ঝাঁপিয়ে পড়ে বল নিজ আয়ত্তে নেন মোহামেডানের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। কিন্তু এই লিটনের ভুলেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’রা। ৩৬ মিনিটে লিটন বল থ্রো করে এক সতীর্থকে দিতে যান। কিন্তু তার থ্রো করা বলটি গিয়ে পড়ে শেখ জামালের ফরোয়ার্ড নুরুল আবসারের পায়ে। ব্যস, আর যায় কোথায়! বক্সে ঢুকে ডান পায়ের কৌনিক শটে জালে বল জড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন তিনি। ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন আবসার। বক্সের ভেতর জটলায় বাঁ পায়ের গড়ানো শট করেন তিনি। জটলার মধ্যে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বল সাইডপোস্ট ঘেঁষে চলে যায় মাঠের বাইরে। ৫৫ মিনিটে বক্সের প্রায় দশগজ দূরে মিঠুন চৌধুরীকে ফাউল করেন জামালের ডিফেন্ডার খান মোঃ তারা। ফ্রি কিক পায় মোহামেডান। ৫৭ মিনিটে মিঠুনের ফ্রি কিক বক্সে পেয়ে চমৎকার হেডে জামালের জাল কাঁপান দলীয় অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি (১-১)। স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন গ্যালারিতে উপস্থিত মোহামেডানের সমর্থকরা। সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার লীগে মাত্র এক গোল করেছিলেন চোট কাটিয়ে ফিরে আসা এমিলি। গত স্বাধীনতা কাপে এই চোটের কারণেই কোন ম্যাচে গোলের দেখা পাননি এই তারকা ফরোয়ার্ড। সেবার অবশ্য খেলেছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর জার্সিতে। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল বন্দরনগরীর দলটি। বাকি সময় দুই দল গোলের চেষ্টা করেও কোন গোলের দেখা পায়নি। ফলে ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয় খেলাটি। এমিলির গোলে বেঁচে যায় মোহামেডান। আজ দুপুর সাড়ে তিনটায় গ্রুপ ‘ডি’র ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। পরের ম্যাচে সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপের দুই দল ফরাশগঞ্জ ও মুক্তিযোদ্ধা।
×