ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সফরের বেশিরভাগ সময় কাটাবেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে

মিয়ানমারে ঢুকতে না দেয়ায় বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘ দূত

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

মিয়ানমারে ঢুকতে না দেয়ায় বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘ দূত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ মিয়ানমারে প্রবেশ করতে না দেয়ায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত (স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার) ইয়াংহি লি। তিনি সাত দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসছেন। এদিকে রোহিঙ্গাদের এখনই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো নিরাপদ হবে না বলে মনে করছে মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও ৫০ লাখ ইউরো সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে ১৩ দিনের সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি ঢাকায় পৌঁছবেন। মিয়ানমারের আউং সান সুচির সরকার তার সঙ্গে অসহযোগিতা করায় ও তাকে মিয়ানমারে ঢুকতে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর নিজের দায়িত্ব পালনে প্রতিবেশী এই দুই দেশ সফর করছেন তিনি। ইয়াংহি লি সাত দিনের সফর শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ড যাবেন এবং ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। লি তার বাংলাদেশ সফরের বেশিরভাগ সময় কাটাবেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে। সফর শুরুর আগে তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাকে মিয়ানমারে ঢুকতে না দিয়ে এবং দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা না করে আমার কাজকে আরও কঠিন করে তোলা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে সম্ভাব্য সব উপায়ে আমি তথ্য সংগ্রহ করব। তিনি আরও বলেন, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সহযোগিতা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে তা পালনে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ। মিয়ানমারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ইয়াংহি লি বলেন, নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলা আমার দায়িত্ব। আমি আমার দায়িত্ব পালন থেকে বিচ্যুত হব না। সফরে প্রাপ্ত তথ্য মার্চ মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করবেন ইয়াংহি। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ২০১৪ সালে তাকে স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার পদে নিয়োগ দেয়। এ্যামনেস্টির আপত্তি ॥ মিয়ানমারের নীতির পরিবর্তন না হলে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত পাঠানো নিরাপদ হবে না বলে মনে করছে মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মঙ্গলবার নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে চুক্তি সই হওয়ার পর উদ্বেগ জানিয়ে এক বিবৃতিতে একথা বলেছে সংগঠনটি।
×