ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডে এ কোন্্ পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

নিউজিল্যান্ডে এ কোন্্ পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কে বলবে এই পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন, কে বলবে সরফরাজ আহমেদের দল টানা ৯ ওয়ানডে জিতে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছে। কিউই সফরে আসলে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা পাকিদের। টানা তিন হারে আগেই সিরিজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষ দুটি ম্যাচ ছিল মান বাঁচানোর, ব্যবধান কমানোর সুযোগ। মঙ্গলবার হ্যামিল্টনের চতুর্থ ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে ২৬২ তোলার পর পাকিস্তান সমর্থকরাও হয়তো আশা দেখছিল। কিন্তু এবার বোলিং ব্যর্থতায় হার ৫ উইকেটে। হেনরি নিকোলস (৫২*) ও ম্যাচের নায়ক কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমোর (৭৪*) অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৪ ওভার ৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। যথারীতি দাপুটে জয়ে সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে যায় ব্ল্যাকক্যাপস শিবির। শুক্রবার ওয়েলিংটনে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো এদিনও শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। দুই অঙ্কের ঘরে পা দেয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন ফাহিম আশরাফ (১) ও বাবর আজম (৩)। অতিথিদের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের চারজনই ফিরেছেন এক অঙ্কে, আর চারজনই পৌঁছান ফিফটিতে। ফখর জামান, হারিস সোহেল ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ফিরে যান পঞ্চাশ ছুঁয়েই। ৭৫ বলে ৫৪ রান করা ওপেনার ফখর তৃতীয় উইকেটে হারিসের সঙ্গে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে ফেরা অলরাউন্ডার আউট হন ঠিক ৫০ রান করে। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সরফরাজ। পাকিস্তান অধিনায়কের ৪৬ বলে খেলা ৫১ রানের ইনিংসটি সমান তিনটি করে ছক্কা ও চার দিয়ে সাজানো। ৬৭ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া হাফিজের শেষের ঝড়ে আড়াই শ’ পার হয় পাকিস্তানের সংগ্রহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৮০ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৮১ রান করেন হাফিজ। ৪৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের সেরা বোলার টিম সাউদি। উইলিয়ামসন ৩২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডকে ভাল শুরু এনে দেন কলিন মুনরো ও মার্টিন গাপটিল। ১৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটি তুলে নেয় ৮৮ রান। এরপরই ১১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ৪২ বলে ৫৬ রান করা মুনরোকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন শাদাব খান। এই লেগস্পিনার পরের ওভারে গাপটিলকেও (৩১) তুলে নেন। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি অভিজ্ঞ রস টেইলর (১) ও টম লাথাম (৮)। নিকোলসের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন উইলিয়ামসনও (৩২)। অধিনায়কের বিদায়ের সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৫৪/৫। অর্থাৎ শেষ ১৫ ওভারে দরকার আরও ১০৯ রান, নেহায়েত কম নয়। কিন্তু গ্র্যান্ডহোমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১০.৫ ওভারেই সেই রান তুলে ফেলে নিউজিল্যান্ড। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নিকোলস-ডি গ্র্যান্ডহোম। ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলস। ৪০ বলে ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারে সাজানো ৭৪ রানের দারুণ ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অলরাউন্ডার গ্র্যান্ডহোম। পাকিস্তানের চার পেসারের তিনজনই কোন উইকেট পাননি। রুম্মন রইস নিয়েছেন কেবল একটি উইকেট। ৪২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে অতিথিদের সেরা বোলার লেগস্পিনার শাদাব। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর থেকে ১০ ম্যাচের নয়টিতেই হার, অপরটি পরিত্যক্ত।
×