ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শ্রীলঙ্কার মিশন শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শ্রীলঙ্কার মিশন শুরু আজ

মিথুন আশরাফ ॥ ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ের মিশন সোমবারই শুরু হয়ে গেছে। আজ শুরু হচ্ছে সিরিজের আরেক দল শ্রীলঙ্কার মিশন। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টায় শুরু হবে। খুব বেশিদিন হয়নি। ছয় মাস হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুইয়ে পরস্পরের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। গত বছর জুন-জুলাইয়ে এ দুই দল লড়াই করে। সেটি শ্রীলঙ্কার মাটিতে। সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে হারে শ্রীলঙ্কা। এই সিরিজে হারের পর লঙ্কানদের অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পড়ে গেছে যে হারের গোলকধাঁধাতেই আটকে আছে। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে হারের সঙ্গে টানা ১২ ওয়ানডেতে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ ১৫ ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতেই হার হয়েছে। নিজ মাটিতে জিম্বাবুইয়ের কাছে সিরিজে হারের পর ভারতের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের কাছেও একইভাবে হার হয়েছে। নাজেহাল হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারপর ভারতের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হেরেছে লঙ্কানরা। এতটাই খারাপ অবস্থা হয়েছে যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) যে করেই হোক বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহেকে রাজি করিয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ করেছে। তার ছোঁয়ায় এখন বদলে যেতে চায় শ্রীলঙ্কা। এত হারের লজ্জার পরও ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে নজর লঙ্কানদের। সেই সাহস হাতুরাসিংহে থেকেই মিলেছে। হাতুরাসিংহে আবার এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে নেতৃত্বেও ফিরিয়েছেন। সবদিক থেকেই দলের তত্ত্বাবধান নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তবে সিরিজটি বাংলাদেশে হচ্ছে। তাই ভালই চ্যালেঞ্জ দেখছেন হাতুরাসিংহে। হাতুরাসিংহে নিজেই বলেছেন, ‘সিরিজটির দিকে তাকিয়ে আছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। একই সঙ্গে নতুন দল ও এই দলের যা স্কিল আছে সেসব নিয়েও আমি রোমাঞ্চিত। দেশে খুব ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। সেটি নিয়েও আমি রোমাঞ্চিত। আমাদের জন্য সিরিজটি হবে চ্যালেঞ্জিং।’ শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস বলেন, ‘নির্দিষ্ট দিনটায় ভাল পারফর্ম করতে হবে। যে দল বেশি রান করবে তারাই জিতবে। প্রতিটি দলই লড়াই করবে। বাংলাদেশ গত আড়াই বছরে দারুণ ক্রিকেট খেলছে। জিম্বাবুয়েও কয়েক বছর আগের তুলনায় ভাল খেলছে। বেশ কয়েকজন ভাল ক্রিকেটার ওদের ফিরে এসেছে। এটি তাই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হবে।’ সঙ্গে বাজে সময় নিয়ে বলেন, ‘পাস্ট ইজ পাস্ট। আমরা সেটি নিয়ে কাতর হয়ে থাকতে চাই না। নতুন চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে আছি। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা অবশ্যই পারি (ঘুরে দাঁড়াতে)।’ এখন দেখা যাক, শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা। জিম্বাবুইয়ে দলটি নিজেদের সর্বশেষ সিরিজেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হারানোও জিম্বাবুইয়ানদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। যদিও দলটি বাংলাদেশের বিপক্ষে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। বাংলাদেশ দেশের মাটিতে খেলছে। এখানে অপ্রতিদ্বন্দ্বী দলে পরিণত হয়েছে। তাই জিম্বাবুইয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে। কিন্তু আজ খেলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের হারিয়েও দিতে পারে জিম্বাবুইয়ে। জিম্বাবুইয়ে দলের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পরই যেমন শ্রীলঙ্কাকে প্রচ্ছন্ন হুমকিই দিয়েছেন। বলেছেন, ‘পরের ম্যাচে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) আমরা প্রথম ১০ ওভারে ৪০-৫০ রান করার চেষ্টা করব। এরপর দেখা যাবে কি হয়। আমরা পরের ম্যাচে আরও ভাল করার চেষ্টা করব।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।’ সিরিজে খেলতে নামার আগে তিন দলেরই আশা চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সময় গড়াতে থাকে। ম্যাচ হতে থাকে। একটি দল ছিটকে পড়ে। আজ যদি জিম্বাবুইয়ে হেরে যায়, তাহলে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনায় থাকবে। টানা দুই ম্যাচে হার হবে। আর যদি জিম্বাবুইয়ে জিতে তাহলে সিরিজ জমে উঠতে পারে। শ্রীলঙ্কার হার মানে হারের খাদের কিনারাতেই পড়ে থাকা হবে। এখন দেখা যাক, জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সিরিজের মিশন কিভাবে শুরু করে শ্রীলঙ্কা।
×