ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীতে বড় পরিসরে হবে সবজি মেলা

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

আগামীতে বড় পরিসরে হবে সবজি মেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামীতে আরও বড় পরিসরে ব্যাপক কলেবরে সবজিমেলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পর্দা নামল তিন দিনব্যাপী জাতীয় সবজিমেলার। মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মেলার সমাপ্তি টানা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো এই মেলা অনুষ্ঠিত হলো। সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালে শাকসবজি উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও বিশেষ পর্যায়ে মোট পাঁচ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে বাড়ির ছাদে সবজি আবাদ করে পুরস্কার পান দু’জন। উৎপাদনের জন্য তিনটি জেলাকেও পুরস্কার দেয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, সবজিরও যে মেলা হতে পারে সে বিষয়ে অনেকের ধারণাই ছিল না। সবজি উৎপাদনে উৎসাহ দিতেই এমন আয়োজন করা হয়। যারা সবজি চাষ করে না তাদের মধ্যেও এই মেলায় সাড়া পড়েছে। মেলায় সব মিলিয়ে ৫৬ লাখ টাকার সবজি ও উপকরণ বিক্রি হয়েছে এবং শেষ দিনের শেষ সময় পর্যন্ত বিক্রি ৬০ লাখ টাকায় পৌঁছাবে বলে সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মেলায় ৬ লাখ দর্শনার্থী আগমন হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এখন সময় হয়েছে মানসম্মত সবজি উৎপাদনের। ফসল বিন্যাসের মাধ্যমে জমির সঙ্কট মোকাবেলা করে উৎপাদন করতে হবে বলেও জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিপি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের বার্ষিক চাহিদা হিসেবে উৎপাদন কম হলেও এর মধ্যেই সবাই সীমাবদ্ধ। তবে বেশি ফলন দেয় এমন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান। পরে অনুষ্ঠানে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জেলা পর্যায়ে পুরস্কার দেয়া হয়। ২০১৭ সালে শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে প্রথম হয়েছেন পাবনার ঈশ^রদী উপজেলার মোছাঃ নূরুন্নাহার বেগম। দ্বিতীয় হয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোঃ মিজানুর রহমান এবং তৃতীয় হয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নবদ্বীপ মল্লিক। বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার মোছাঃ মনোয়ারা বেগম ও সিরাজগঞ্জ সদরের মোঃ আব্দুস সাত্তার। একই বছর বাড়ির ছাদে শাক-সবজি আবাদে অবদানের জন্য ধানম-ি এলাকার ডাঃ ফেরদৌস আরা চৌধুরী, মোহাম্মপুরের মোঃ লুতফর রহমান এবং মোঃ মোশারফ হোসেনকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হয়। এছাড়াও ২০১৭ সালে শাক-সবজি উৎপাদনে হেক্টর প্রতি গড় ফলনে সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদানের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলাকে প্রথম জয়পুরহাট দ্বিতীয় এবং গাইবান্ধা জেলাকে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হয়। ২০১৮ সালের সবজি মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারী পর্যায়ে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং তৃতীয় হয়েছে হর্টেক্স ফাউন্ডেশন। অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে বেসরকারী পর্যায়ে প্রথম হয়েছেন মেটাল এগ্রো এন্টারপ্রাইজ দ্বিতীয় হয়েছে লাল তীর সীড লিমিটেড এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন ব্র্যাক সীড এগ্রো ও সোলারগাও। পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হয়। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। ‘সারাবছর সবজি চাষে, পুষ্টি-স্বাস্থ্য-অর্থ আসে’ প্রতিপাদ্যে এবারের মেলায় মোট ৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেন। সেখানে ১০৪ ধরনের সবজি প্রদর্শন করা হয়।
×