ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের শেষ বছরে অনশন কি দাবি আদায়ের অস্ত্র?

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

সরকারের শেষ বছরে অনশন কি দাবি আদায়ের অস্ত্র?

বিভাষ বাড়ৈ ॥ সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে, তাই দাবির যেন শেষ নাই। একের পর এক দাবি। হঠাৎ দাবি তুলে নেমে পড়ছেন অনশনে। প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি তাদের গ্রেড উন্নীত কর, নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবি প্রতিষ্ঠানের এমপিও চাই, ইবতেদায়ি শিক্ষকরা চান জাতীয়করণ, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের দাবি জাতীয়করণ চাই এখনই। বেসরকারী থেকে সরকারী হওয়া কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির তুঘলকি ঘটনা নিয়ে হচ্ছে প্রতিবাদ। দু’একটি ক্ষেত্র ছাড়া বাকি প্রায় সবস্তরের আন্দোলন নিয়েই আছে প্রশ্ন। শিক্ষকদের ব্যানারে তবু আসছে একের পর এক অনশন। নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান অন্যদিকে শিক্ষক হিসেবে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকলেও অনশন ছড়াচ্ছে অস্থিরতা। শিক্ষাস্তরের এ অচলাবস্থাকে যুগের পর যুগ ধরে চলা সরকারের অব্যবস্থাপনার একটি চিত্র বলেই অভিহিত করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের অনেকেই। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সরকারের শেষ সময়ে দাবি আদায়ের মোক্ষম সময় হিসেবে যেমন বেঁচে নিচ্ছেন শিক্ষকরা, তেমনি যুগের পর যুগ অযোগ্য অথর্ব ও নামসর্বস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিয়েই আজ এমপিও নিয়ে অরাজক অবস্থার জন্ম দেয়া হয়েছে। পাল্লা দিয়ে নাম সর্বস্ব অযোগ্য প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের কারণে আজ অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা গজিয়ে উঠেছে। আজ সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই দাবি উঠেছে তাদের সরকারী বেতন দাও, এমপিও দাও। এখানেই শেষ নয়, গত ১৫ বছরের যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমপিও না দেয়ার শর্তে অনুমোদন বা স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে সরকারের শেষ সময়ে এসেছে সেই প্রতিষ্ঠান থেকেও দাবি তোলা হচ্ছে এমপিও দাও। শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেছে, শিক্ষক নেতারা মূলত দাবি আদায়ের কৌশল হিসেবেই সরকারের মেয়াদ শেষ সময়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে চান। কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন সরকারের শেষ সময়ে দাবি আদায় সহজ। কারণ নির্বাচন আসন্ন থাকায় সরকারও এ বিষয়ে সহনীয় মনোভাব দেখায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার দাবি পূরণে সরকারের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভেঙেছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকেরা। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষকেরা। ১-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন তারা। পরে ৯ জানুয়ারি থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। অষ্টম দিনের মাথায় তারা অনশন ভাঙলেন। বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে ২০১০ সালের প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে সব শিক্ষকের জন্য পৃথক বেতনকাঠামো করার কথা বলা হয়েছিল। সে অনুসারে উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত অর্ধযুগেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষকদের নিয়ে আজকের যে জটিলতা তার বেশ কিছুর কারণ যুগ যুগ ধরে শিক্ষা প্রশাসনে চলা অব্যবস্থাপনা। প্রভাবশালীদের চাপেই হোক বা অন্য কোন কারণেই হোক দেশজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়া হয়েছে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করেই। নাম, সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে হয়েছে ইচ্ছে মতো শিক্ষক নিয়োগ, নেই শিক্ষার্থীও। অথচ আজ সেখান থেকেই উঠেছে সরকারী সুবিধা দাও। তবে শিক্ষকদের আজকের অনেক দাবিই আছে দীর্ঘদিনের, যা আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে চাঙ্গা হয়েছে মাত্র। বছরের শেষ সময়ে এখন বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ভর্তির মৌসুম চলছে। চলছে পাঠ্যপুস্তক বিতরণও। এই অবস্থায় শিক্ষক আন্দোলনে নামায় শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। ফলে সরকারও আন্দোলন নিয়ে বিব্রত। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, অতীতেও দেখা গেছে, সরকারের শেষ সময়ে শিক্ষক সংগঠনগুলো মাঠে নেমে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালে নির্বাচনের আগে শিক্ষকদের আন্দোলন করে দাবি আদায়ের নজির আছে। ভোটের রাজনীতির কারণে সরকার এ সময় দাবির প্রতি নমনীয় থাকে। সে দাবি যৌক্তিকই হোক বা অযৌক্তিকই হোক। এবারও তাই হবে বলে আশা করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। গত ডিসেম্বরে দুইটি শিক্ষক আন্দোলন হয়েছে। প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চেয়ে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড তিন ধাপ কম থাকাকে বৈষম্য দাবি করে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষকরা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাসে তারা কর্মসূচী স্থগিত করার পর শুরু হয় এমপিওভুক্তর দাবিতে আন্দোলন। যেসব স্কুলের শিক্ষকদের সরকার আর্থিক সুবিধা দেয় না, সেসব স্কুলের শিক্ষকরা এই সুবিধার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছেন। টানা আন্দোলনের এক পর্যায়ে শুরু করেন অনশন। শিক্ষামন্ত্রী তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও চালিয়ে যান অনশন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে ঘরে ফিরে যান। তবে এরপর আবার আন্দোলনে মেনেছেন অন্যরা। মন্ত্রণালয় এবং মাউশির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতি অনুসারে ইতোমধ্যেই নতুন এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশোধিত এমপিও নীতিমালার খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হয়ে আসার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন চাওয়া হবে। এরপর যাছাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হবে। এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের টানা আন্দোলন শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই কার্যক্রম শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমপিও প্রত্যাশীদের যাছাই-বাছাই করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি)। কর্মকর্তারা বলেছেন, সংশোধীতে নীতিমালা অনুযায়ী ভাল ফল, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ কয়েকটি বিষয় মূল্যায়ন করে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচন করা হবে। ২০০৯ সালের ১৬ জুন সর্বশেষ নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পর আর কোন প্রতিষ্ঠান এমপিও হয়নি। বর্তমানে সারাদেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বাইরে আছে। তবে এত উদ্যোগের পরেও এবার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও নিয়ে পানি কম ঘোলা করা হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠান এবার আন্দোলন করেছে তাদের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই পাওয়া কঠিন। আন্দোলনের সময়েই শিক্ষক হিসেবে যারা অনশনে ছিলেন তাদের অনেকেই নিজেরা বলতেও পারেননি তারা কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। একজনকে প্রশ্ন করা হলে অন্যজনের দিকে চেয়ে থাকেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে এনে অনেকেই এমন অবস্থান প্রকাশ করেছেন যে তারা বেশ কয়েকবছর আছে একটি প্রতিষ্ঠানে কোন মতে কাজ করেছেন এখন নেতারা বলেছেন তাই আন্দোলনে নেমেছেন। আশা যদি সরকারী বেতন বা অন্য সুবিধা পাওয়া যায়। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে ভাল মানের। তবে তাদের শিক্ষক নিয়োগে নেই কোন স্বচ্ছতা। নেই কোন নিয়মের বালাই। তাহলে কি হবে ওই প্রতিষ্ঠান ও তার শিক্ষকের। মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলছিলেন, আসলে নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ শুরু হলে দেখা যাবে এক হাজার প্রতিষ্ঠানও পাওয়া যাবে না যেগুলো এমপিও পেতে পারে। দেখা যাবে শিক্ষার্থী নেই ২০ জনও। শিক্ষক হিসেবে নাম আছে দেখা যাবে শিক্ষার্থীর থেকে বেশি। তার পরেও দেখা যাক। নীতমালা অনুসারে সব হবে। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তি বন্ধ রয়েছে। বছরের পর সরকারী দলের সাংসদদের অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি চান। কিন্তু অপরিকল্পিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ায় এবং বছরের পর বছর রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করায় শিক্ষা বাজেটের ওপর চাপ পড়ছে। এদিকে এমপিওভুক্তদের এখন দাবি জাতীয়করণ। দেশে মাধ্যমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। দেশে বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৩৭ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী প্রায় ৫ লাখ। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে ২৬ হাজার। এগুলোর ৪ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী সরকার থেকে মূল বেতন ও কিছু ভাতা পান। তাদের এমপিওভুক্ত শিক্ষক বলা হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রায় সব সংগঠন এখন শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ধাপে ধাপে আন্দোলন করে আসছে। এই মুহূর্তে সরকারী অর্থে পরিচালিত এ শিক্ষকদের একটি গ্রুপ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করছেন। দেশে ৩৩৫টি সরকারী কলেজ আছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব উপজেলায় সরকারী কলেজ নেই, সেগুলোতে একটি করে বেসরকারী কলেজকে সরকারী করা হবে। নতুন করে আরও ২৮৩টি বেসরকারী কলেজ জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু আগে থেকে নীতিমালা ছাড়াই এত বেসরকারী কলেজকে জাতীয়করণ করায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ঘোষিত মানদ- না থাকায় ভাল ও পুরনো কলেজ বাদ দিয়ে যেনতেন কিছু কলেজ জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনও হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয়করণ হওয়া কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার উদ্যোগ তারা মানবেন না। তাদের নন-ক্যাডার রাখতে হবে। এই দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। তবে দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সম্প্রতি সরকার-বেসরকারী থেকে সরকারী হওয়া কলেজ শিক্ষকদের নন-ক্যাডার করে আদেশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষকদেরও দাবি আছে। টাইম স্কেল ও পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। বাংলাদেশ সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী পালন করছেন তারা। সরকারের শেষ সময় ছাড়াও আগামী বাজেটে যাতে নিজেদের সমস্যা, বৈষম্য দূর করার পথ খুঁজে পান তারও একটা আশা থাকে বলে মনে করছেন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার। বাংলাদেশ বেসরকারী কারিগরি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তর জনকণ্ঠকে বলছিলেন, দেখেন এটাই বাস্তব যে বর্তমান সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য যতটা করেছেন তা কেউ কোনদিন করেনি। তার পরেও অনেক সমস্যা, অনেক বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন কোটি কোটি শিক্ষক-কর্মচারী। তারা সব সময়েই চান তাদের মানবিক দাবি দেখা হোক। তার পরেও এখন আসন্ন বাজেট ও সরকারের সময়ের কথা চিন্তা করে স্বাভাবিকভাবেই আগাতে চান তারা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১০ সালের পর কোন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। এতদিন ধরে হাজার হাজার শিক্ষক কাজ করেও সরকারী কোন টাকা পান না। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন শিক্ষক সমাজের জন্য এটা ইতিবাচক একটা পদক্ষেপ। শিক্ষক নেতারা একে কৌশল বলেছেন। নেতারা বলছেন, সরকারের শেষ সময়ে দাবি আদায় সহজ। কারণ নির্বাচন আসন্ন থাকায় সরকারও এ বিষয়ে সহনীয় মনোভাব দেখায়। যা অন্য সময় দেখায় না। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক (নায়েম) অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির বলছিলেন, আজ এমপিও নিয়ে যে সমস্যা তার মূলে আছে অপরিকল্পিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর এটা হয়েছে। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠান অনুমোদনে শক্ত হওয়া জরুরী ছিল। এখন এমপিও হলে তার মান রক্ষা করা কঠিন একটি কাজ। তবে তা করতে হবে। শিক্ষকদের যোগ্যতা, তাদের মান নিশ্চিত করতে হবে।
×