ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ওআইসি ট্যুরিজম মিনিস্টার সম্মেলনে এটি প্রধান এজেন্ডা

‘ট্যুরিজম ট্রেনিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব চূড়ান্ত বিটিবির

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

‘ট্যুরিজম ট্রেনিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব চূড়ান্ত বিটিবির

আজাদ সুলায়মান ॥ ঢাকায় আন্তজার্তিক মানের একটি ‘ট্যুরিজম ট্রেনিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। আগামী পাঁচ-সাত ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় ওআইসির দশম ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টার্সে এই প্রস্তাবকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। কনফারেন্সে ঢাকার এই প্রস্তাব অগ্রাধিকার পাবে বলে নিশ্চিত করেছে বিটিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। এ জন্য ট্যুরিজম ট্রেনিং সেন্টারের একটি ধারণাপত্রও তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও হেরিটেজ ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট এবং ২০১৮-২০১৯ সালকে ঢাকাকে ওআইসি ট্যুরিজম সিটি হিসেবে ঘোষণা করারও প্রস্তাব থাকবে। এ তিনটি প্রধান এজেন্ডার বাইরেও বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করা হবে। যা ওআইসি দেশগুলোর পর্যটন বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আগামী পাঁচ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনটির উদ্বোধন করবেন। এতে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি দেশের পর্যটন মন্ত্রী, ওআইসিভুক্ত ইনস্টিটিউটগুলোর প্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এই কনফারেন্স সফল করার জন্য ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এ দিকে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া এই কনফারেন্সে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে (এফবিসিসিআই)। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই কনফারেন্সকে সফল করতে এফবিসিসিআই কীভাবে সহযোগী হতে চায় তারও সে কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিটিবির সঙ্গে। মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সংগঠনটি ও ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনায় আসন্ন কনফারেন্সে এই তিনটি প্রস্তাবকেই অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়। বিটিবি সূত্র জানায়, ঢাকায় আন্তজার্তিক মানের ট্যুরিজম ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার ধারণাপত্রে বলা হয়, এটি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পর্যটন বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ওই দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম হওয়ায় এবং প্রাকৃতিক নৈসর্গিক ভুবিচিত্রার কারণে বিশ্বব্যাপী পর্যটনপিপাসুদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। এখানে পৃথিবীর বৃহত্তর সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার দুনিয়াব্যাপী সমাদৃত। এ সব বিবেচনায় ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা রয়েছে। এ সম্পর্কে বিটিবি চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, এ কনফারেন্সে অনেকগুলো প্রস্তাব থাকবে। এর মধ্যে ট্রেনিং সেন্টারকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। মূলত তিনটি প্রস্তাবকেই বিশেষ বিবেচনায় কনফারেন্সে অনুমোদন করিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক উদ্যোগ নেব।
×