ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যমেলায় সুলভে মিলছে জুতা

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

বাণিজ্যমেলায় সুলভে মিলছে জুতা

ওয়াজেদ হীরা ॥ সময়ের সাথে খাপখাওয়াতে তরুণ-তরুণী সবারই দৃষ্টি থাকে ফ্যাশনে নতুনত্ব আনার। সময়োপযোগী সব পণ্যেই বাহারি ডিজাইনও খোঁজায় মত্ত থাকেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার বিভিন্ন স্টলে বাহারি ডিজাইন আর নতুনত্ব দেখে জুতা ও স্যান্ডেল কিনতে স্টলগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। শীতের সাথে সময়োপযোগী জুতা কিনতেই ক্রেতাদের এই ভিড়। ব্যবসায়ীরাও বাহারি ডিজাইন এনে সাড়া পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। গত কয়েকদিন ধরেই জুতার স্টলগুলোতে ভিড় বেড়েছে। শৈতপ্রবাহের সাথে শীত যেমন হাড়ে কাঁপুনি দিচ্ছে তখন শীতের উপযোগী জুতা কিনছেন ক্রেতারা। বাণিজ্যমেলায় প্রায় প্রতিটি জুতার স্টলেই বেশ ভিড়। এক্ষেত্রে তরুণীদের ভিড় একুট বেশিই। এছাড়াও শিশুদের জন্যও জুতা কিনতে দেখা গেছে। মেয়েদের জুতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হিল, হাইহিল, স্লিপার, কেসসগ নানা ধরনের জুতা দেখা গেছে। বাচ্চাদের জুতার মধ্যে নরম জুতার চাহিদাই বেশি। মেলায় জুতা, স্যান্ডেলসহ চামড়ার তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিপণনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে। এছাড়াও মেলায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেচাকেনার চেয়ে ব্র্যান্ড প্রমোশনের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় তারা। ব্যতিক্রমী ফ্যাশনের দিকে যাদের ঝোঁক, তারা যেতে পারেন পাটপণ্যের স্টলগুলোতে। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পরিবেশবান্ধব পাটের জুতা। পাটের তেরি এসব জুতার কদর অবশ্য দেশের চেয়ে বিদেশেই বেশি বলেও জানা গেছে। মেলায় মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের জুতায় দাম রাখা হচ্ছে ১৫০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। দেশী পণ্যের পাশাপাশি বিদেশী পণ্যও কিনতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ধরনের স্লিপার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। হাই হিলের দাম একটু বেশি। থাই জুতারও বেশ নজর কেড়েছে ক্রেতাদের। থাই প্যাভিলিয়নে বিক্রেতাদের অসিম বলেন, আমাদের পণ্যের মান দেখেই মূলত ক্রেতারা কিনছেন। ইতোমধ্যেই বেশ সাড়া পেয়েছি। বাকি দিনগুলোতেও বিক্রি অব্যাহত থাকবে আশা তার। বিভিন্ন ধরনের জামার বা শাড়ির সাথে মানানসই জুতা কিনছেন নারীরা। মিথিলা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মেলায় এসেছেন জামা কিনেছেন। তার সাথে কিনে নিলেন জুতাও। সাথে আসা বান্ধবীরাও কিনেছেন। সুমি আক্তার নামের ক্রেতা জানালেন, মেলা পছন্দ হলো কিনে নিলাম। যদি মার্কেটে এমনটি নাও পেতে পারি। দাম নিয়েও সন্তুষ্ট জানালেন এই ক্রেতা। তরুণীদের মতো ভিড় না থাকলেও তরুণরাও বাদ যায়নি। শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিমুল জানালেন সামনে শীতকালীন ট্যুরে যাব। মেলায় ভাল কেডস পাওয়া গেল, কিনে নিলাম। বিভিন্ন উপলক্ষকে সামনে রেখে একেক ক্রেতা পছন্দসই কেনাকাটায় মেতেছেন। স্টলগুলো যেন জুতার পসড়া সাজিয়ে বসেছে। কি নেই সেখানে! লাল-নীল-গোলাপী বিভিন্ন রং আর ডিজাইন সেই সাথে স্টলগুলোর একাধিক বাতির আলোয় আরও দূর থেকেই ঝলক দিচ্ছে বাহারি জুতাগুলো। শিশুদের জুতা কেনার ক্ষেত্রে একটু নরম ও আরামদায়ক এমন দেখেই কিনে নিচ্ছেন বাবা-মা। বিকেলের দিকে বিক্রির চাপ বেশি লক্ষ করা গেছে। বিক্রয়কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে পণ্য দেখিয়ে। দেশীয় স্টলগুলোর বাইরেও বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের জুতা। মেলায় ভারত, পাকিন্তান, চীন, থাইল্যান্ডের জুতা কিনতে দর্শকদের আগ্রহ দেখা গেছে। বিভিন্ন স্টলের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিক্রির এই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে শেষের সপ্তাহে আর ছাড়ে বিক্রি করা হবে। বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা ও স্যান্ডেলের পাশাপাশি মেয়েদের ভ্যানিটিব্যাগ, পার্স, মানিব্যাগ ও বেল্টও কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। মেলায় অন্যান্য পণ্যেরও বিক্রি বাড়ছে। মেলার সময় শেষ হয়ে আসছে তাই শুধু ঘুরে দেখার সময় যেসব দর্শনার্থীদেরও নেই।
×