ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. জহুরুল আলম

গণমানুষের সংগ্রাম ও নেতৃত্বের ভূমিকা

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

গণমানুষের সংগ্রাম ও নেতৃত্বের ভূমিকা

সকল সামাজিক পরিবর্তন ও বিবর্তনের অনুঘটক হচ্ছে মানুষ। মানবসমাজের বিবর্তনের ইতিহাস নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের ইতিহাস। এ সংগ্রাম কেবল একদল মানুষের অপর একদল মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়ার সংগ্রাম নয়, এটা মানুষের ভালভাবে বেঁচে থাকার, নিজের অধিকার আদায় করার ও সুসংহত করার, অপরকে ভাল থাকতে দেয়ার সংগ্রাম। এর বিপরীতে যাদের অবস্থান তাদের সঙ্গে অনিবার্যভাবেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ইতিহাস। এই যুক্তি বোঝার সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ঙ্গম করার বিষয় হচ্ছে এই যে, সমাজে সর্বদাই কোন না কোনভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মতানৈক্যগুলো বিদ্যমান থাকে। কারণ সমাজের সকল মানুষের মনোস্তত্ত্ব এক রকম হয় না বা বস্তুগত ও দৈহিক চাহিদাগুলোও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভিন্নমুখী। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রয়োজনগুলোও এক রকম হয় না। ব্যক্তিস্বার্থ তাই মানুষের কর্মকা-ে ও অচরণে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। এই প্রভাবগুলো যখন গোষ্ঠীস্বার্থকে বাধাগ্রস্তু বা ক্ষতিগ্রস্ত করে তখন সামাজিক সংঘাত হয়ে পড়ে অপরিহার্য। ইতিহাসের সকল যুদ্ধবিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার এ সকল স্বার্থসংশ্লিষ্ট আচরণ থেকেই উদ্ভূত। তাই মানবসমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য ও মানুষের শান্তিতে বসবাস করার মতো সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ সকল মতানৈক্যের যুক্তিসঙ্গত সমাধান প্রয়োজন। আর এই যুক্তিসঙ্গত সমাধান হচ্ছে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল বিধি-ব্যবস্থা ও উপকরণের আবশ্যক সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজনানুযায়ী সব কিছু করে যাওয়া। যেহেতু আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে সাফল্য এবং উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত তাই এই শর্ত পূরণের জন্য প্রয়োজন সকল শুভ শক্তির মতৈক্য ও ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। অর্থাৎ শুভ-অশুভর লড়াই অনন্তকালের এবং এখানে শেষাবধি শুভ শক্তির জয় অনিবার্য। তবে শুভ শক্তির প্রতিরোধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে সমাজ কখন কোন্ পর্যায়ে থাকবে। কোন কোন সামাজিক সংঘাতের পরিসমাপ্তি ঘটে সমাজের পূর্বনির্ধারিত নিয়মনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে। কিন্তু এমন কিছু বৈপরীত্য রয়েছে যেগুলোর পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে কেবলমাত্র সমাজের নেতৃত্বের সক্রিয়, যুক্তিসঙ্গত ও কৌশলী ভূমিকা। যে কোন ধরনের সমস্যা, তা হোক সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক, তার সমাধান বহুলাংশে নির্ভরশীল এর সমাধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর সেই সমস্যা সঠিকভাবে নির্ণয় করা এবং জনস্বার্থে এর সমাধান করার ক্ষমতা ও সদিচ্ছার ওপর। পরস্পরবিরোধী সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোন শক্তির বিরোধের বিষয়টি যখন নীতিগতভাবে জনস্বার্থ বিষয়ক হয় তখন সেই স্বার্থরক্ষা করাটাই হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের ভাষা সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম, সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী সকল আন্দোলন, এগুলো জনগণের আন্দোলন এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই এ সকল অন্দোলনে সফলতা এসেছে। অর্থাৎ যে কোন দ্বন্দ্ব নিরসনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনস্বার্থের মৌলিক বিষয়গুলোকে রক্ষা করা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রেও মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, সাফল্য ও উন্নয়নের বিষয়গুলো। অর্থাৎ এসব কাজে নিয়োজিত পক্ষগুলোকে নির্ভুলভাবে জানতে ও বুঝতে হবে মানুষের ভালভাবে বেঁচে থাকার মৌলিক বিষয়গুলো কী? পরস্পরবিরোধী শক্তির বিরোধ মীমাংসা তখনই সম্ভব যখন জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা, সার্বভৌমত্ব, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, মানবাধিকারের মতো মৌলিক বিষয়ের সংজ্ঞাগত কোন প্রকার পার্থক্য তাদের মধ্যে না থাকে। যেমন মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানীরা তাদের এ দেশের দালালদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় সারা বাংলায় গণহত্যা চালিয়েছে, এই সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করার যে কোন প্রয়াসে যারা লিপ্ত তারা দেশের মানুষের স্বার্থের সরাসরি বিরোধিতাকারী। এদের সঙ্গে এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী শক্তি বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কোন ধরনের আঁতাত হওয়া আইনগত বা নীতিগত কোনভাবেই সম্ভব নয়। অথবা মুক্তিযুদ্ধে কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার একটি স্বীকৃত তথ্য থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তাহলে সেই শক্তি আসলে এদেশের মানুষের অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করে দেশকে স্বাধীন করার গৌরবগাথাকে অস্বীকার করার মানসেই তা করে থাকে। তাহলে সে ধরনের বিরোধী পক্ষ আসলেই এ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, বিজয়গাথা বা উন্নয়নে কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে সেটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এদের এ ধরনের দর্শন সর্বতোভাবেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের দর্শন, যাকে এক কথায় বলি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সেই দর্শনের বিরুদ্ধগামী। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান মূল্যবোধ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। তথাকথিত দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক হানাহানির রাষ্ট্র পাকিস্তানের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে না থাকার আকাক্সক্ষা থেকেই গড়ে ওঠে স্বাধীনতার সংগ্রাম, যার গোড়াপত্তন হয় আমাদের ভাষা সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় থেকে। এ সংগ্রামে আমরা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধই ছিল সে সংগ্রামের সর্বোচ্চ অধ্যায়। এই মূল্যবোধকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া জাতির দীর্ঘদিনের সকল সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে অস্বীকার করার শামিল। সেক্ষেত্রে কোন্ শক্তির সঙ্গে কোন্ শক্তির কোন্ পর্যায় পর্যন্ত আপোস হতে পারে তা প্রকৃত নেতৃত্বের জন্য নিষ্পত্তি করা কোন কঠিন বিষয় নয়। পৃথিবীর ইতিহাস প্রমাণ করে যে, শেষাবধি গণবিরোধী শক্তি বিলুপ্ত হয়। তবে তার আগে এরা দেশ ও জনগণের প্রভূত ক্ষতি সাধন করে যায়। বাংলাদেশের ১৯৭৫-এর বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-, জেল হত্যাকা-, হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় না নিয়ে এসে পুরস্কৃৃত করা, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে তাদের বিচার বন্ধ করা, সামরিক শাসনের যাঁতাকলে জাতিকে নিষ্পেষিত করা, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে নষ্ট করে দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যা করা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব¡দানকারী দলকে নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস, ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রার’ নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং আরও অসংখ্য গণবিরোধী কর্মকা-ের মাধ্যমে গণবিরোধী অপশক্তি এ ধরনের ক্ষতি সাধন করে গেছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের বুঝতে হবে, যে রাজনৈতিক দর্শনগত মৌলিক বিভেদগুলো বিদ্যমান সেগুলো ঠিক সেই অবস্থায় রেখে আসলেই কোন্ পর্যায় পর্যন্ত বিবদমান পক্ষগুলোর সংঘাত নিরসন সম্ভব! অদৌ কি তা সম্ভব? বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভেদকে একসময় অনেক প-িত ব্যক্তি এবং বিদেশী দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা ‘দুই নেত্রীর সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন, যা ছিল মূর্খতার নামান্তর। বিদেশীদের জন্য এটা ছিল এ দেশের ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতা আর দেশী প-িতের দলের প্রচেষ্টা ছিল মূল বিষয় থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর প্রচেষ্টা। মূল বিভেদটি আসলে বাংলাদেশের জন্ম, আদর্শ, নেতৃত্ব ও সংবিধান সম্পর্কিত। এজন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর প্রথমেই জিয়া-মোশতাক বাংলাদেশের সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছে। মানবসমাজের আদি হতেই সকল প্রকার আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সেই পরিবর্তনগুলো সাধিত হয়েছে তখনই যখন মানুষ চেয়েছে সেই পরিবর্তনগুলোকে নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে বাস্তুবে রূপ দিতে। আদিম সমাজের পরবর্তী আরও অগ্রবর্তী সমাজে উত্তরণ হয়েছে তখনই যখন মানুষ নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এবং সেই প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নতুন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ রচিত সেই পরিবর্তনের সুফলগুলো ভোগদখল করেছে সমাজের অতি চতুর ও শক্তিশালী মানুষ এবং অন্তিমে দেখা গেছে সেই অর্জিত পরিবর্তন সাধারণ মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকা-ে ব্যবহৃত হয়েছে সুফল ভোগদখলকারীদের দ্বারা। এজন্যই মানুষকে যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করতে হয়েছে নিজের অধিকারকে ফিরে পাওয়ার জন্য, প্রতিষ্ঠিত এবং সংহত করার জন্য। এই অতি সরল সমাজ বিবর্তনের ধারার কথা মাথায় রেখে আমাদের মনে রাখতে হবে মানুষের অধিকারের বিপক্ষে কোন আগ্রাসন জনগণ কখনই মেনে নেয় না, তা প্রতিহত করে সর্বশক্তি দিয়ে। সেজন্যই কখনই কোন রাজনৈতিক কর্মকা- মানুষের স্বার্থবিরোধী হওয়া উচিত নয়। মানুষ চায় নিজের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শান্তি, সাফল্য, উন্নততর জীবন এবং নিরাপত্তা। এ দেশের মানুষ জাতির স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং প্রয়োজনে আবারও তা করবে। অবশ্যই জনগণ সেই শক্তিকেই সমর্থন করবে যে শক্তি কথায় ও কাজে প্রমাণ করতে সক্ষম হবেÑ তারাই মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে সমর্থ। সমাজ বিবর্তনে ও উন্নয়নে জনগণের এই ভূমিকা কোনভাবেই নেতৃত্বের ভূমিকাকে অস্বীকার করে না। বরং জনগণের প্রকৃত নেতৃত্বই পারে মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শন করে গন্তব্যে নিয়ে যেতে। জনতার নেতা ও তার দল জনগণকে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে, জনগণের স্বার্থেই তাদের নেতৃত্ব দেয় মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য। নেতৃত্বহীন জনতা হালবিহীন জাহাজের মতো। সে জানে না তার গন্তব্য বা গন্তব্যে পৌঁছানোর সঠিক পথ। জনতার নেতৃত্ব মানুষকে সেই গন্তব্য দেখায় এবং সেখানে পৌঁছানোর পথ বাতলে দেয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। কিন্তু সেই যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মতো দূরদর্শী নেতা, যিনি বাংলার মানুষের বহু যুগের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। একজন নেতা নেতৃত্ব দেন একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতবাদ বা দর্শনের ভিত্তিতে। আর সেই দর্শন হয় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের দর্শন। সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা আন্দোলনকে সঠিক ধারায় প্রবাহিত করার জন্য এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য সেটাকে পরিশুদ্ধ করেন, সেখানে প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরিবর্তন আনেন। একজন সফল নেতা জনগণকে উপহার দেন একটি শান্তিময়, উন্নত ও সুন্দর জীবন ব্যবস্থা, যদি জনগণ তাকে সেটুকু করার সময় দেয়, অথবা যদি জনগণের শত্রুরা তাকে হত্যা না করে। বাংলাদেশ দেখেছে কিভাবে স্বাধীনতার অনতিকাল পরেই জাতির পিতাকে হত্যা এবং তারপর কিভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পৃথিবীতে জনগণের নেতাদের অনেকবার হত্যা করা হয়েছে। এ সকল হত্যাকা- এটাই প্রমাণ করে জনতার শত্রুদের সঠিক সময়ে বিলুপ্ত করা না হলে এরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের সকল সাফল্যকে ধ্বংস করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। লেখক : সভাপতি, জিআরসি
×