ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

সফল উদ্যোক্তা রিফাত হোসেন

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

সফল উদ্যোক্তা রিফাত হোসেন

ছোটবেলায় আমাদের অজস্র স্বপ্ন থাকে, শখ থাকে, জীবনে অনেক কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থাকে। আর যখন আমরা বড় হয়ে উঠি, ধীরে ধীরে সে সব স্বপ্ন-আকাক্সক্ষাগুলো বিবর্ণ হয়ে যায়। শৈশবে আমাদের শুধু বলা হয়, পড়াশোনা করতে হবে, আরও অনেক পড়তে হবে। আমাদের একদিন অনেক বড় হতে হবে। কিন্তু প্রায়োগিক শিক্ষাটা কতজন নিতে পারছি। এভাবে গতানুগতিক পড়ালেখার গণ্ডি পেরিয়ে প্রায় সবাই ছুটে চলে চাকরির পেছনে। চাকরির জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে অনেকে সফল হয়, অনেকে ব্যর্থ হয়ে মনোবল ভেঙ্গে থমকে দাঁড়ায়। এভাবে বহু প্রতিভাবান তরুণকে জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়তে দেখা গেছে। তবে সময় বদলেছে, আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে হালের তারুণ্যের আগ্রহের গতিপথও। অফিসের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী কোন চাকরি নয়; বহু তারুণ্যের মনোনিবেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। চাকরি করা নয়, উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এখন বহু যুবকের স্বপ্ন। স্বাধীনতার পর উদ্যোক্তা উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের পথচলা খুব বেশি গতিময় না হলেও দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন বেশ কিছু প্রতিভাবান তরুণ উদ্যোক্তা। যারা স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণে ঝুঁকিও নিয়েছেন, তারা সফলও হয়েছেন। সফল হয়ে পথ দেখিয়েছেন অন্য তারুণ্যদের। তাদের মধ্যে অন্যতম রিফাত হোসেন। ২০০ টাকা পকেটে নিয়ে রিক্সা ব্যবসা দিয়ে শুরু করে হয়েছেন আজ কোটি টাকার গাড়ি ব্যবসায়িক। রিফাত হোসেন মনে করেন, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে সাহস ও ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা থাকা। ঝুঁকি যারা নিতে পারে তারাই উদ্যোক্তা এবং তাদের তৈরি সেবা, পণ্য কিংবা উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সমাজের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হয়। উদ্যোক্তা হতে হলে ছোট ব্যবসা দিয়েই শুরু করা ভাল। এমনটি বলছিলেন শিল্পোদ্যোক্তা রিফাত ট্রেডিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা রিফাত হোসেন। ‘তরুণদের প্রতি আমার পরামর্শ প্রথমে ছোট ব্যবসা দিয়েই শুরু কর। যে ব্যবসায় হাত দেবে সেটি সম্পর্কে স্টাডি কর। ওই ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা কেমন তা জানার চেষ্টা কর। প্রথমেই লস প্রজেক্টে হাত দিলে অঙ্কুরেই বিনাশ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। মনে রাখবে ব্যবসায় কাউকে কখনও ঠকাবে না। জীবনে সময়কে মূল্য দেবে। তবেই সফলতা ধরা দেবে।’ ধনী পরিবার থেকে উদ্যোক্তা হলে কিছু আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কোন ঝুঁকিতে পড়লে তা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ থাকে। কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে এ সুযোগ পাওয়া যথেষ্ট কঠিন। প্রতিটি পদক্ষেপেই তাকে একেকটি বাধা মোকাবেলা করতে হয়। যা শুরু হয় অর্থনৈতিক দীনতা থেকেই। নিজের পরিবারের সমর্থন কিংবা পরিচিতদের মধ্যে যদি বড় কেউ না থাকে এবং পুঁজির যদি স্বল্পতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাহস নিয়েই এগোতে হবে। আপনার লক্ষ্য স্থির থাকতে হবে, আপনি কী অর্জন করতে চান এবং কোন্ পথে তা অর্জন করবেন। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানও অর্জন করতে হবে। উদ্যোক্তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে ধৈর্য। ব্যবসার শুরুতে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি আসে। কিন্তু আপনাকে অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে সে সময়টুকু অতিবাহিত করতে হবে। আপনাকে সীমিত অর্থের যথাযথ ও প্রত্যাশিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তারাই উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হন যারা সততা, আমানতদারি বজায় রাখেন। সততা, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা- এসব বিষয়ে আমি শুরু থেকেই খুবই সিনসিয়ার। আমি কাউকে কোন দিন ঠকাইনি। কেউ আমার কাছে ১০টি টাকাও পাবে না। যদি তোমার মধ্যে সততা এবং পরিশ্রম থাকে তবে একদিন না একদিন তুমি সফল হবেই। আপনি তো রিফাত ট্রেডিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। শুরুটা কি ভাবে হয়েছিল? আমার জীবনে প্রথম ব্যবসা ছিল রিক্সা। তরুণদের জন্য এই বিষয়টি আমি বলতে চাই। যাতে করে উদ্যোক্তা হতে তারা আগ্রহী হয়। বাবাকে যখন ব্যবসা করতে দেখেছি তখন তার ব্যবসা করার যে সামর্থ্য ছিল আমার সময় তা ছিল না। বাবা প্রথম ব্যবসা করে সিএনজি-বাস-ট্রাকের। আর আমি যখন ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করি তখন একজন তরুণ হিসেবে আমার পকেটে শুধুমাত্র ২০০ টাকা ছিল। তখন খুব কষ্ট করে ৩০ হাজার টাকা যোগাড় করে চারটা রিক্সা কিনেছি। চিন্তা করে ছিলাম একেকটা রিক্সা থেকে যদি প্রতিদিন ১০০ টাকা করে পাওয়া যায় তাহলে চারটা রিক্সা থেকে প্রতিদিন ৪০০ টাকা পাওয়া যাবে। আস্তে আস্তে করে আগাতে হবে। নিজের যোগ্যতায় নিজ উদ্যোগে কিছু করব। সেই চিন্তাধারা নিয়ে আস্তে আস্তে করে এগিয়েছি। আমার জায়গা থেকে যদি আমি পারি তাহলে সব তরুণই পারবে। আমি যদি রিক্সা ব্যবসা থেকে গাড়ি ব্যবসায়িক হতে পারি তাহলে আজকের তরুণরাও আকাশ ছুঁতে পারবে আমার বিশ্বাস। ব্যবসা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। সেই ভাললাগা ইচ্ছা থেকে ২০১১ সালে গাড়ির ব্যবসা শুরু করি। আমি তখন বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করি। সেই সময়ই চিন্তা করি আমি নিজে কিছু একটা করি আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য। আর তখন আমি গাড়ির ব্যবসাকে বেছে নেই। আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে অনেক জেনে-শুনে নামতে হয়েছে। অতীতে মানুষ ব্যবসার কথা চিন্তা করেই নেমে যেতে পারত কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়। ব্যবসা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা দরকার, যোগ্যতা দরকার। ব্যবসাটা কিভাবে শুরু করা যায় কোথা থেকে কি করতে হবে অনেক কিছু জানার আছে। অনেক কিছু জেনে-শুনে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়। তারই ফলে ২০১২ সালে আমরা রিফাত ট্রেডিংয়ের ট্রেড লাইন্সেস করি। এবং ছাত্র অবস্থায় আস্তে আস্তে করে আমাদের ব্যবসাটা আজ এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। বর্তমানে আমাদের দুটি শোরুম একটা কুড়িল বিশ্বরোড আর একটি হলো গুলশানে। তারুণ্যের দ্বারা যে সবই সম্ভব তা আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি। অনেক সময় দেখা যায় যে এ রকম উদ্যোগ নিতে গেলে অনেক ধরনের বাধার সমুখীন হতে হয়। সে রকম কোন সমস্যার মুখে পড়ে ছিলেন? আমাদের দেশে ব্যবসা করতে গেলে প্রথম যে বাধাটা হয়ে দাঁড়ায় তা হলো ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আমদানি-রফতানি লাইসেন্স সব কিছু মিলিয়ে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেএে আমাদের অনেক কিছু জানতে হয়েছে। এসব লাইসেন্স কোথা থেকে করতে হয় এসব বিষয় যেনে আমাদের ব্যবসায় নামতে হয়েছে এবং আরেকটি বাধা আসে অর্থনৈতিক বাধা। এই বাধার জন্য আমাদের ব্যাংকের কাছে যেতে হয়। তাদের নিয়মকানুন জানতে হয়। এ সকল বাধা অতিক্রম করে আমরা আস্তে আস্তে করে এ পর্যন্ত এসেছি। ব্যবসা করার অনুপ্রেরণা কার কাছ থেকে পেলেন? ব্যবসার অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার বাবার কাছ থেকে। কারণ আমার বাবা গাড়ির ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি গাড়ির ব্যবসা। সেই থেকেই গাড়ির ব্যবসার প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হয়। তাই বাবার প্রতি অনুপ্রেরণা রেখেই গাড়ির ব্যবসাকেই বেছে নেই। গাড়ির ব্যবসা করার জন্য কি পরিমাণ অর্থ নিয়ে শুরু করতে হয়েছিল? আমরা প্রথমে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ির ব্যবসা শুরু করি। এখন আমাদের সব সময় ঢাকায় ৪০টি এবং ঢাকা বাইরে ৬০ থেকে ৭০টি গাড়ি স্টক করে রাখা হয়। আপনি তো আইটি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত? হ্যাঁ। বাংলাদেশে দিন দিন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। মধ্য আয়ের দেশে দেখা যাচ্ছে আইটি ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে পরিণত হচ্ছে। আইটি ব্যবসা করে আমরা আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক চাহিদা খুব সুন্দরভাবে পূরণ করতে পারি। আইটি ব্যবসার পাশাপাশি আমরা ট্যুরিজম নিয়েও কাজ করি। বাইরের দেশ থেকে অনেক ভ্রমণপ্রিয় মানুষ বাংলাদেশে আসতে চায়। আমাদের দেশে তাদের সুন্দরভাবে থাকা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারছি না। তাই এই পুরো জিনিসটি আইটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে ভ্রমণ বিষয়টি গঠন করা। কোন উদ্যোক্তাকে অনুসরণ করেন? আমি একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে কাউকে অনুসরণ করি না। কিন্তু অনেকের কাজ ভাল লাগে। আনিসুল হক তার কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। গার্মেন্টস সেক্টরে বাংলাদেশে এই পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে তিনিই এগিয়ে আছেন। এ ছাড়াও গাড়ি ব্যবসার ক্ষেত্রে হাবিবল্লাহ ডন তাকে ভাল লাগে। আসলে কাউকে অনুসরণ করে ব্যবসা করা যায় না। একজন তরুণকে নিজের ভাল লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। তা হলেই সে সফল হতে পারবেন। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি তো সফল। আজকের তরুণ প্রজন্ম কি ভাবে ব্যবসার উদ্যোগ নিতে পারে? আসলে আমি সফল এখনও হয়েছি কিনা আমি জানি না। হয়ত চেষ্টা করছি। একজন তরুণ হিসেবে চেষ্টার কারণেই আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমার যেটা মনে হয় আমাদের দেশের তরুণরা সুস্থ-সুন্দরভাবে ইতিবাচক মন নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে আমি একটা ব্যবসা করব। একটা ব্যবসা একদিনে করা যায় না পাঁচ থেকে দশ বছরের পরিকল্পনা করা উচিত। একটা সুন্দর পরিকল্পনার কারণেই ব্যবসাটা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তার জন্য হাজারও বাধাবিপত্তি থাকবে তা যখন একজন তরুণই কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং আস্তে আস্তে নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারবে। আমার মনে হয় তখনই তার ব্যবসটা সে শুরু করতে পারবে। তরুণদের ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই অতীতে ব্যবসার যে ধরন ছিল বর্তমানে সে রকম নেই। আস্তে আস্তে করে দেশও উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং ব্যবসার পরিধি ব্যবসার ধরন ও ব্যবসার আকারও বাড়ছে। কোন ব্যবসা করার আগে সেই ব্যবসা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে হবে। ব্যবসার ক্ষেত্র তিন ধরনের জিনিস বলা যায় ডিলারশিপ ব্যবসা, আমদানি-রফতানি ব্যবসা। একজন তরুণের কোন্ ব্যবসাটা ভাল লাগে। এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে। সেটাকেই প্রাধান্য দিতে হবে। সেক্ষেএে যদি বলি তাহলে তরুণদের বলতে চাই ট্রেডিং ব্যবসা করুন। ট্রেডিং ব্যবসায় অর্থ খুবই কম নিয়ে শুরু করা যায়। ট্রেডিং ব্যবসা বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন? ট্রেডিং ব্যবসা হলো একটা পণ্য এক জায়গা থেকে নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করা। সেই ক্ষেত্রে দেখা গেছে তরুণরা ট্রেডিং ব্যবসা করার জন্য খুব সুন্দরভাবে সচ্ছল হতে পারবে। ট্রেডিং ব্যবসার মাধ্যমে ব্যবসার পুরো বিষয়টি বুঝতে পারবে। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে একজন তরুণের মনমানসিকতা সেভাবে বিকশিত হয় না। যখন সে অল্প ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় নামবে ঝুঁকির পরিধিও বাড়বে এবং ব্যবসার ধরনও বাড়বে। একজন তরুণ যে বয়সে আড্ডাবাজি করে থাকেন; সেই বয়সে আপনি ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রে আজকের তরুণদের উদ্দেশে আপনার কোন বক্তব্য রয়েছে কী? আমাদের দেশের তরুণরা পড়াশোনা শেষে চাকরি খুঁজেন। কিন্তু আমাদের দেশে চাকরির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যে হারে ছেলেমেয়েরা প্রতিবছর শিক্ষাজীবন শেষ করে বের হচ্ছে সেই হারে চাকরির বাজার নেই বা সৃষ্টি হচ্ছে না। তাদের জন্য আমার পরামর্শ চাকরি না খুঁজে নিজের উদ্যোগে কিছু একটা কর; যাতে নিজের কর্মসংস্থান নিজেই করতে পার। প্রথমেই যে বড় পরিসরে করতে হবে তা নয়। ছোট থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ শুরু করা উচিত। এভাবে করতে পারলে একসময় অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হবে এবং এটি দেশের জন্যও ভাল। আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে অন্যদের জন্যও চাকরির বাজার তৈরি করতে সক্ষম হব। এ জন্য শুধু চাকরির পেছনে না ছোটাই উত্তম। একজন তরুণ কিভাবে সফল হতে পারে? রিফাত হোসেন ডিপ্রজন্মকে বলেন, সফল হতে হলে প্রথমে দরকার সততা। তারপর সঠিক লক্ষ্য এবং তা বাস্তবায়ন করার স্পৃহা ও কঠোর পরিশ্রম। যদি কেউ সুশিক্ষিত হয় এবং লক্ষ্য ঠিক করতে পারে তাহলে অবশ্যই সে সফল হবে। অন্যরা বিশ্বাস ঘাতকতা করলেও নিজের কাজ আর পরিশ্রম নিজের সঙ্গে কখনই বিশ্বাস ঘাতকতা করে না। পরিশ্রম অবশ্যই সফলতা এনে দেবে। আপনার ভিশন কি? দেশকে শিল্পায়িত করা আমার ভিশন। বাংলাদেশ অচিরেই মালয়েশিয়ার মতো উন্নত হবে, সেই স্বপ্ন দেখি আমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে অচিরেই আমরা সমৃদ্ধশালী দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারব।
×