ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানিক সাহা হত্যার পুনঃতদন্ত দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

মানিক সাহা হত্যার পুনঃতদন্ত দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানিক সাহা হত্যার পুনঃতদন্ত দাবি করে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রকৃত খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। হত্যার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, পৃষ্ঠপোষক ও ভাড়াটিয়া খুনীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। সোমবার বিশিষ্ট সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা মানিক সাহার চতুর্দশ মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে রাজধানীর মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। ‘মানিক সাহা হত্যার বিচারপ্রত্যাশী সংক্ষুব্ধ সমাজ’ এই সভার আয়োজন করে। সভায় কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মানিক সাহা ছিলেন একজন নীতিনিষ্ঠ সাংবাদিক ও খাঁটি দেশপ্রেমিক। সাম্প্রদায়িকতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বুর্জোয়া শাসক শ্রেণীর শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে গেছেন তিনি। মৃত্যুর হুমকি পেয়েও চলার পথ থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। তার এ বীরোচিত আত্মদান সাহসী সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে এবং ন্যায়বিচার ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের মনে সাহস যোগাবে। রাজনীতিক রাজেকুজ্জমান রতন বলেন, মানিক সাহার শারীরিক মৃত্যু হলেও কাপুরুষরা তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। কর্মগুণে অনন্তকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তিনি। তার বর্বরোচিত হত্যার পরিকল্পনাকারী ও অর্থের যোগানদাতাসহ নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করার দাবি জানান তিনি। সাংবাদিক আব্দুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, মানিক সাহা মৌলবাদসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তাদেরকে রুখে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছেন। এ কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই স্বাধীন মত প্রকাশ এবং মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে মানিক সাহা হত্যার ন্যায়বিচার অপরিহার্য। সে জন্য চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা-ের পুনঃতদন্ত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন। ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের অদূরে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নৃশংসভাবে নিহত হন সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী মানিক সাহা। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত দৈনিক সংবাদ ও নিউ এজ পত্রিকার খুলনার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও বিবিসি বাংলার খ-কালীন সংবাদদাতা এবং এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, খুলনা চ্যাপ্টারের সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত মানিক সাহা ছাত্রজীবন থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত কর্মজীবনেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলের লড়াই-সংগ্রামে।
×