ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্লোরোফর্মের অবৈধ ব্যবহারে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

ক্লোরোফর্মের অবৈধ ব্যবহারে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, রাসায়নিক পদার্থ ক্লোরোফর্ম অবৈধভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এগুলো নিয়ন্ত্রণ হওয়া প্রয়োজন। তবে বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন। তারপরও এটা জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর দায় আমাদেরও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আমরা ক্লোরোফর্ম আমদানি, বিপণন ও বিতরণে কঠোর মনিটরিং করতে অনুরোধ জানাতে পারি। পাশাপাশি সিভিল সার্জনকে দিয়ে স্থানীয়ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনিটরিং করতে পারে। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে রবিবার রাতে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধি ৭১ অনুসারে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম রওশন আরা মান্নানের আনীত জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিসের জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে ডেপুটি স্পীকার সংশ্লিষ্ট এমপিকে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ের ওপর আরেকবার নোটিস দেয়ার পরামর্শ দেন। জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিসে রওশন আরা মান্নান বলেন, ভয়ঙ্কর রাসায়নিক পদার্থ ক্লোরোফর্ম অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এজন্য নেই কোন মনিটরিং, নেই কোন বিধি-নিষেধ। অথচ ক্লোরোফর্ম একটি ভয়ঙ্কর রাসায়নিক পদার্থ। এটা কোন রোগীকে অজ্ঞান করার জন্য অথবা বিভিন্ন গাছগাছড়ার নির্যাস বের করতে এই ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়। যে কারণে খোলা বাজারে যে কেউ এই রাসায়নিক পদার্থ যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করতে পারে। এই সুযোগটি নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী এবং অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। যার অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নোটিসে তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে সরকারকে এ বিষয়ে মনিটরিঙের ব্যবস্থা করে ডাক্তার বা ল্যাবরেটরির মাধ্যমে বা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এর বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। মিথ্যা ছাড়পত্র নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে আমদানি করতে না পারে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ॥ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপপ্রয়াস চালায় তাদের বিরুদ্ধেও ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চার বছর পর্যন্ত কারাদ- কিংবা অর্থদ- অথবা উভয়বিধ দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম। নাহিদ আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এনেছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা ॥ একই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য মেট্রোপলিটন- বিভাগীয় পর্যায়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক পৃথক মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে তৎপর। নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলাকালীন শ্রেণী সময়ের মধ্যে কোন শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না।
×