ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় স্কুলছাত্রী হত্যা তিন আসামির মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবনের আদেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

মাগুরায় স্কুলছাত্রী হত্যা তিন আসামির মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবনের আদেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঘোষিয়াল গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা সমাদ্দারকে (১৪) অপহরণ, ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০১১ সালে এ তিন আসামির মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তিন আসামি হলো- মোঃ ইউসুফ জোয়ার্দার, মোঃ জিল্লুর রহমান ও আক্কাস শেখ। রবিবার এ মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপীলের শুনানি শেষে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মৃত্যুদন্ডে কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবে। রায়ের পরে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে অপহরণ এবং ধর্ষণচেষ্টার দায় আদালত আমলে নেয়নি। এ কারণে শুধু ৩০২ ধারায় তাদের সাজা দেয়া হয়েছে। বয়স বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। চার্জশিটের সময় ইউসুফের ২৬, জিল্লুরের ২৫ ও আক্কাসের বয়স ২৫ বছর ছিল। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে বলেও তিনি জানান। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু ও আহসান উল্লাহ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল । মামলার তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঘোষিয়াল গ্রামের মনোজিত সমাদ্দারের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা সমাদ্দারকে দুর্বৃত্তরা ২০১০ সালের ৪ আগস্ট অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ও পরে তাকে হত্যা করে। এ অভিযোগে পূর্ণিমার বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মামলা করেন। এরপর ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মাগুরা আদালতে ঘোষিয়াল গ্রামের মোঃ ইউসুফ জোয়ার্দার, মোঃ জিল্লুর রহমান ও আক্কাস শেখকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার বিচার শেষে ২০১১ সালে স্কুলছাত্রী পূর্ণিমাকে অপহরণের অভিযোগে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে এবং হত্যার অভিযোগে তাদের মুত্যুদ-ের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপীল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেন আদালত।
×