ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের হার স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার, বিফলে ফিঞ্চের সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড জেসন রয়ের

জেসন রয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জয়

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

জেসন রয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জেসন রয়ের (১৮০) দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড। ৪-০তে এ্যাশেজ ট্রফি খোয়ানোর পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ইংলিশরা প্রথম ওয়ানডেতে পেল ৫ উইকেটের জয়। সেটিও আবার তি শ’র ওপরে রান চেজ করে। মেলবোর্নে এ্যারন ফিঞ্চের (১০৭) সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। তবে স্মরণীয় সাফল্যের নায়ক রয়ের উইলোর তা-বে সেই চ্যালেঞ্জ আর চ্যালেঞ্জ থাকেনি। ১ ওভার ১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। মনে রাখার মতো এ জয়ে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ইংলিশরা। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুক্রবার। দলীয় ৬০ রানে জনি বেয়ারস্টো ও এ্যালেক্স হেলসকে হারালেও জেসন রয়ের পাগলাটে ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই পথে ছিল ইংল্যান্ড। ১৫১ বলে ১৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১৮০ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হন জয় থেকে ২৯ রান দূরে সফরকারীরা। সেঞ্চুরির পথে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রয়। যা ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরি। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির আগের রেকর্ডেও যৌথভাবে জস বাটলারের সঙ্গী ছিলেন তিনি। রয়ের ১৮০ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ ছিল এ্যালেক্স হেলসের, ২০১৬’র আগস্টে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। রয় ফেরার পর দ্রুত দুটি উইকেটের পতন হলেও বাকি কাজটুকু সারেন জো রুট। ১১০ বলে ৫ চারে ৯১ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন টেস্ট অধিনায়ক। অসিদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। জেসন রয়ের ম্যাচ-উইনিং সেঞ্চুরিতে ঢাকা পড়ে গেছে ফিঞ্চের কৃতিত্ব। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ব্যাট করতে নামবেন আর অসি-ওপেনার সেঞ্চুরি করবেন না, তা কি হয়? এমসিজিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। এখানে ইংলিশদের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ইনিংসে ফিঞ্চের রান ১২১, ১৩৫ ও ১০৭। যার সর্বশেষটি এসেছে শনিবার হেরে যাওয়া এই ম্যাচে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে করেছিলেন ১২১, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৩৫। গড় ১২১। ইংল্যান্ড যেন বরাবরই ফিঞ্চের প্রিয় প্রতিপক্ষ। ইংলিশদের বিপক্ষে ২৪ আন্তর্জাতিক ইনিংসে ফিঞ্চের সেঞ্চুরি সংখ্যা ৫টি (ওয়ানডেতে ৪, টি২০তে ১টি)। অন্য সব প্রতিপক্ষ মিলিয়ে ৯১ ইনিংসে তার সেঞ্চুরিও সমান ৫টি। ১১৯ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজান ফিঞ্চ। ৬৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ঠিক ৫০ রান করেন টেস্ট সিরিজেও দারুণ ফর্মে থাকা মিচেল মার্শ। আর মার্কাস স্টয়নিস মাত্র ৪০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় খেলেছেন ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস। এছাড়া টিম পেইন করেন ২৭ রান। তবে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এরপরই চতুর্থ উইকেটে মার্শকে সঙ্গে নিয়ে ১১৮ রানের বড় জুটি গড়েন ফিঞ্চ। এই জুটির পথেই ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফিঞ্চ। ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের আরেকটি ভাল জুটি গড়েন স্টয়নিস ও পেইন। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। তবে ডানহাতি এই পেসার ১০ ওভারে দেন ৭১ রান। ৭৩ রানে ২ শিকার স্পিনার আদিল রশিদের। মঈন আলী, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড নেন ১টি করে উইকেট। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া : ৩০৪/৮ (৫০ ওভার; ফিঞ্চ ১০৭, ওয়ার্নার ২, স্মিথ ২৩, হেড ৫, মার্শ ৫০, স্টয়নিস ৬০, পেইন ২৭, কামিন্স ১২, স্টার্ক ০*, টাই ৪*; ওকস ১/৬৫, উড ১/৪৯, প্লাঙ্কেট ৩/৭১, রশিদ ২/৭৩, মঈন ১/৩৯)। ইংল্যান্ড : ৩০৮/৫ (৪৮.৫ ওভার; রয় ১৮০, বেয়ারস্টো ১৪, হেলস ৪, রুট ৯১*, মরগান ১, বাটলার ৪, মঈন ৫*; স্টার্ক ২/৭১, কামিন্স ২/৬৩, টাই ০/৪৩, স্টয়নিস ১/৩৩, জাম্পা ০/৭২, মার্শ ০/১৫, হেড ০/৬)। ফল : ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : জেসন রয় (ইংল্যান্ড)। সিরিজ : পাঁচ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে।
×