ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণভবন থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

 গণভবন থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৫৩তম বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে তাবলিগ জামাতের বৃহত্তর এই সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হল। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলিসহ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা এ সময় গণভবনে তার সঙ্গে মোনাজাতে অংশ নেন। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ সময় সেখানে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ্র বৃহত্তম ঐক্যের পাশাপাশি দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। কাকরাইল জামে মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ জুবায়ের মোনাজাত পরিচালনা করেন। আখেরি মোনাজাত ও ‘হেদায়েতী বয়ান’ এবারই প্রথম বাংলায় করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, নড়াইল, মাগুরা, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও নাটোরসহ দেশের ১৬টি জেলার লাখ লাখ মুসল্লি এজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এবারের এজতেমার প্রথম পর্বে ৮৮টি দেশের প্রায় ৪ হাজার ৪৭৩ জন বিদেশী মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। আগামী ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আরম্ভ হবে। দেশের অবশিষ্ট ১৬টি জেলার মুসল্লিরা সেখানে অংশ নেবেন। শুক্রবার ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব এজতেমা প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হল। এজতেমার প্রথম পর্বে বিশিষ্ট ওলামায়ে মাশায়েখবৃন্দ তাদের বয়ানের মধ্যদিয়ে পবিত্র কোরান ও সুন্নাহ্র আলোকে পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তাদের বয়ান বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে শোনানো হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে নয়াদিল্লীভিত্তিক তাবলিগ-ই-জামাত এই বিশ্ব এজতেমার আয়োজন করে আসছে। এজতেমায় দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক মুসল্লি আসতে থাকায় চাপ কমাতে ও সুষ্ঠুভাবে জমায়েতটি পরিচালনা করার স্বার্থে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব এজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে।
×