ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৪৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কুতুপালং ক্যাম্পে স্থানান্তর

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

৪৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কুতুপালং ক্যাম্পে স্থানান্তর

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নোমেন্সল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৪৬ পরিবারকে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। রবিবার সকালে আশারতলী সাপমারাঝিরি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৬ পরিবারের ১৯৯ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া কুতুপালং আশ্রয় ক্যাম্পে পাঠানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যুগ্মসচিব মোঃ শামশুজ্জুহা। এ সময় তিনি বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য তাঁবু পানীয় জলের ব্যবস্থা, ল্যাট্রিন নির্মাণসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে ঘুমধুম ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে উখিয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল বলেন, আগামী ২০দিনের মধ্যে সাপমারাঝিরি, বড়ছনখোলা, বাহিরমাঠ ও কোনারপাড়া সীমান্ত থেকে আরও ১৬ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে। অপরদিকে যে ১০ মুসলিম হত্যার পর গণকবর দেয়ার স্বীকারোক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা সে বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ্যামনেস্টি বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাপক অপরাধের এটি একটি খ-চিত্র মাত্র। রাখাইনের মংডু ও রাচিদংয়ের মধ্যবর্তী আন্ডাংয়ে যে গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের গণহত্যা করা হয়েছে এর স্বাধীন তদন্তের দাবি উঠেছে। যদিও ওই গণকবর নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। সে রিপোর্টেই সেনা সদস্যদের স্বীকারোক্তি মতে দশ রোহিঙ্গাকে হত্যার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিক বিদেশী এনজিও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারে ফিরে না যেতে তারা বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের। এমনকি ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও রোহিঙ্গাদের আন্দোলনমুখী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১২টি আশ্রয় ক্যাম্পে ৭২টি এনজিও কার্যক্রম চালালেও অন্তত ২০টি এনজিও সংস্থার এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ওসব এনজিওর কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করে উচ্চ মহলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
×